নাগালের মধ্যে থাকলে সেই স্বপ্ন দেখা উচিত এটা প্রত্যেকেই কখনও না কখনও শুনেছে কিন্তু স্বপ্ন বাধা নিষেধ বা নাগাল মানে না। সাধারণ বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে মঙ্গলে গিয়ে থাকার স্বপ্ন দেখে সদ্য বিবাহিত শৌনক কিনে নিল একটু জমি। হয়তো কখনও সংসার পাতবেন সেখানে এই আশা নিয়ে।
শৌনকের বাড়ি শ্রীরামপুরে। একটি সাধারণ বেসরকারি সংস্থায় সে কর্মরত। সম্প্রতিই সে বিয়ে করেছে। শৌনক প্রথম বাঙালিহিসেবে জায়গা কিনলো মঙ্গলে। মঙ্গলে তার কেনা জমির পরিমান এক একর।
তাকে এবিষয়ে জিগ্যেস করা হলে সে বলে, ‘দাম কম ছিল তাই কিনে নিয়েছি।’ শৌনক একেবারেই মিথ্যে বলে নি, মঙ্গলের এক একর জমির দাম মাত্র 3000 টাকা। মঙ্গলের ঠিক কোথায় তার জমি আছে, অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ মেপে সেই জমির যাবতীয় তত্ত্ব তালাশ ও দলিল তাঁর হাতে এসে গিয়েছে।
শৌনক বলেছে, “বিজ্ঞান যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহেও মানুষ গিয়ে থাকতে পারেন।” তার মতে, ” হয়তো আমি যেতে পারব না। তবে সকলকে বলতে তো পারব, আমার মঙ্গলে জমি আছে।”
শৌনক চন্দ্রযানের নকশা কেমন হবে তা নিয়ে কাজ করছে। ২০২৪ সালে চাঁদে লোক পাঠাবে নাসা আর তারপরেই মঙ্গল গ্রহে। চন্দ্রযান বা মঙ্গলযানে শৌচালয় কেমন হবে তা দেখতে চায় নাসা।
লুনার টু চ্যালেঞ্জ এ শৌচাগারের নকশা গৃহীত হবে। চন্দ্রযানের মারফত পুরুষ অভিযাত্রীর পাশাপাশি, মহিলা অভিযাত্রীও যাবেন ফলে সমস্ত দিক দেখেই সেই নকশা বানাচ্ছে শৌনক কিন্তু আপাতত সে মঙ্গলের জমি কি হবে সেটা নিয়েই খুব চিন্তিত ।