লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮ সিট জেতার কোনও ক্রেডিটই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দিলেন না বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বললেন, মুকুল দা-কৈলাশজি দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলায় ২ থেকে ১৮ সিট কিভাবে করতে হয়।
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সহ সভাপতির পদে বসানো হয়েছে মুকুল রায়কে। সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর রবিবার রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে আইসিসিআর-এ তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, স্বপন দাশগুপ্ত, প্রমুখ। এদিনের সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে মুকুল রায়কে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ‘প্রধান মুখ’ হিসেবে তুলে ধরলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, “বিজেপি পার্টি একটা প্রতিষ্ঠিত পার্টি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে খুব ছোট্ট পার্টি। এই ছোটো পার্টিকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে মুকুলদাকে চাই। মুকুলদা, কৈলাশদা দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে ২টো সিট থেকে ১৮টা সিট করতে হয়।”
মুকুল রায়কে এদিন ‘বড় ভাই’ বলে সম্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, “বাংলায় বিজেপিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য চাই বড়ভাই মুকুলদাকে।” অরবিন্দ মেনন বলেন, “মুকুলদা পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি জায়গা চেনেন।” আগামী ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে “ঝোপড়ি ঝোপড়ি যেতে হবে, খোপড়ি খোপড়ি ইঞ্জেকশন পুশ করতে হবে”, বলে টার্গেট বেঁধে দেন তিনি। আরও বলেন, “দিদিকে বলে দাও, তুমি ছেড়ে দাও।”
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে এবার বাংলায় উত্থান ঘটেছে বিজেপির। ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টিতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। অমিত শাহর ২৩টি আসনে জেতার টার্গেট পূরণ না হলেও, যেভাবে শাসকদলের কান ঘেঁষে রয়েছে গেরুয়াবাহিনী, তাতে বাংলায় এবার অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই সাফল্যের পিছনে রাজ্য সভাপতি হিসেবে তাঁর ভূমিকা অনেকটাই বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের কথায় স্পষ্ট, বাংলা গেরুয়া উত্থানের কারিগর হিসেবে মুকুল রায়কেই এগিয়ে রাখছেন তাঁরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন মুকুল রায় বলেন, “মোদীজি চান রাজ্যে বিজেপির সরকার হোক। সেই কাজ করতে গিয়ে কে ছোট, কে বড় ভাবলে চলবে না। সবাইকে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে এবং বিজেপিকে জেতাতে হবে।”