প্রতিবার ঈদের সময় যাত্রীদের রেলপথের টিকিট কাটা নিয়ে পড়তে হয় বিভিন্ন ভোগান্তিতে। তাই এবার যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর জন্য পাঁচটি জায়গাতে টিকিট বিক্রির ব্যাবস্থা করা হয়, এবং অর্ধেক টিকিট অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করার ব্যবাস্থা করা হয়। তারপরেও যাত্রীদের ভোগান্তি কোনো দিক দিয়ে কমেনি।
অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি হলেও অনেকেই তাদের চাহিদা মোতাবেক টিকিট পাচ্ছেনা বলে যাত্রীদের অভিযোগ। অনেকে অভিযোগ করেছেন তাদের টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে কিন্তু তারা তাদের টিকিট পাচ্ছে না। এসব মিলিয়ে যাত্রীদের আরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গতকাল ছিল ঈদের টিকিট বিক্রির শেষ দিন। শেষদিনে ৪ জুনের টিকিট বিক্রি করা হয়। কমলাপুর স্টেশনের কতৃপক্ষদের দ্বারা জানা যায় বিগত পাঁচ দিনে কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়েছে ৫২ হাজার ৬০০টি টিকিট এবং অবিক্রিত আছে ১২ হাজার ৫০ টির মত টিকিট। গতকাল বিকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে অবিক্রিত টিকিটের পরিমান হয়েছে ২৩ হাজারের বেশি। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে তাদের সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৩১ হাজার টিকিট বিক্রির কথা।
রেলে কর্মরত এক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক তিনি জানায়, প্রথম শ্রেনি, ঘুমিয়ে যাওয়া কামরা ও এসি কক্ষের টিকিট ঈদের সময় বেসি বিক্রি হয়। যাত্রীরা এসব আসনের টিকিট বেসি কেনার কারনে নন-এসি ও কাছের স্টেশনের টিকিট কম বিক্রি হয়। তাছাড়াও ঈদের আগেরদিন যেসব ট্রেন ছাড়া হয়, সেসব টিকিটের চাহিদা অনেক কম। সতরাং এতগুলো টিকিট অবিক্রীত থাকাটাই স্বাভাবিক। যেসব যাত্রীরা তাদের চাহিদা মোতাবেক টিকিট পাননি তারা এই অবিক্রীত টিকিট ক্রয় করবেন। অবিক্রীত টিকিট আবারও অনলাইনে ও কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।
এক ভুক্তভুগি যাত্রী জানায়, তার লাগবে দুটি টিকিট কিন্তু তিনি টিকিট পাননি। রেলের যে অ্যাপটি রয়েছে তাতে সে লগইন করতে পারছেন না এমনকি অনেক্ষন যাবত চেষ্টা করেও পারেননি লগইন করতে। চেষ্টা করতে করতে তার ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেছে কিন্তু তারপরও টিকিট পাননি তিনি।
অনলাইনে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান সিএনএস এর কর্মকর্তারা মনিটরের তথ্য পর্যালচনা করে বলেন দেড় ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। কিন্তু একজন যাত্রী বলেন এতক্ষন ধরে আমরা লাইনে দারিয়ে টিকিট পেলাম না অথচ এত টিকিট বিক্রি করা শেষ। এত টিকিট কে কিনল?
সিএনএসের নির্বাহী পরিচালক মো. জিয়াউল আহসান সারওয়ার বলেন, একসাথে অনেক ট্রাফিক অ্যাপে আসার কারনে এই সমস্যা হচ্ছে কিন্তু আজ থেকে অ্যাপে এই সমস্যা বা চাপ থাকবে না।
রেলওয়ের কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, তাদের কাছে যেসব অভিযোগ আছে সেগুলো ঠিক করার জন্য কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। সমস্যাগুলো ঠিক করার চেষ্টা করব আমরা। সামনের ঈদ থেকে এসব সমস্যা থাকবেনা বলে জানান তিনি।