শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর উপর একটি সেতু থেকে এক বাবা তার মৃত্য সদ্যোজাতকে জলে ফেলে দেয়। তবে শেষ রক্ষা আর হয় না। স্থানীয়দের চোখে পড়ে যায় ঘটনাটি। তারা পুলিশের হাতে তুলে দেয় ওই সদ্যোজাতের বাবা এবং তার সাথে আরেক ব্যক্তি কে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই বাবা এবং আরো একজন ব্যক্তিকে।
ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার লক্ষ্যাতাড়ায়। সেইখানে স্থানীয় বাসিন্দারা শুক্রবার দিন রাত দশটা নাগাদ দেখে ফেলেন এক বাবাকে সেতুর ওপর থেকে গন্ধেশ্বরী নদীতে একটি সদ্যোজাতকে ফেলে দিতে। এর পরেই পুলিশে খবর দেন তারা। সদ্যোজাতর ওই বাবার সাথে ছিল আরো একজন ব্যক্তি। সদ্যোজাত মৃতদেহটি খোঁজার জন্য তল্লাশি চালানো হয় নদীতে। প্রাণপণ তল্লাশি চালানোর পর প্রায় পাঁচ ঘন্টার পর উদ্ধার হয় মৃত শিশুটির দেহ। সদ্যোজাত মৃতদেহটিকে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।
অভিযুক্ত ওই বাবা এবং তার সাথে গ্রেফতার হওয়া আর একজন লোক দাবি করেছেন এই সদ্যোজাত পুত্রসন্তান টি কিছুদিন ধরেই কঠিন অসুখে ভুগছিল। কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। সেই খানে সে সুস্থ না হওয়ায় তারা পরিকল্পনা করেন তাকে বাঁকুড়ায় ফেরত নিয়ে আসার। অভিযুক্তদের দাবি ফেরত নিয়ে আসার সময় পথেই সে প্রাণ ত্যাগ করে। তাই তার মৃতদেহকে আর বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাননি ওই সদ্যোজাতের বাবা। তাই তারা ঐ শিশুটিকে রাস্তার মাঝে গন্ধেশ্বরী নদীতে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই ঘটনা কতটা সত্যি তা এখনো জানা যায়নি। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এই ঘটনা কতটা সত্যি তা জানার জন্য। পুলিশের অনুমান ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় এর বাসিন্দা নির্মল সৎপতি এবং তার স্ত্রী কিছুদিন আগেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে শিশুটি রুগ্ন ছিল। বিভিন্ন ধরনের কঠিন অসুখে সমানে ভুগে যাচ্ছিল শিশুটি। প্রথমে সদ্যোজাত থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে এবং পরে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। তাই জন্য সেই সদ্যোজাতের বাবা সিদ্ধান্ত নেন শিশুটিকে বাঁকুড়ায় আবার ফিরিয়ে আনার। তবে সদ্যোজাতের বাবার দাবি আনার পথে মৃত্যু হয় শিশুটির। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় মৃতদেহ কে জলে ফেলে দেওয়ার।