দক্ষিণ কলকাতার বিজয় গড়ের এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত অর্ধনগ্ন এক যুবতীর দেহ। বিজয়গর এর ওই বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় নিয়ে প্রেমিকের সাথে লিভ ইন করতেন তিনি। আজ সকালে সোনালী বর্মন নামে ওই যুবতীর ঝুলন্ত দেহ মেলে ওই বাড়িটি থেকে।
আজ ছিল মেয়েটির জন্মদিন। আর আজই তার ঝুলন্ত দেহ মিলল ঘর থেকে। প্রেমিকের সঙ্গে যাদবপুর থানা এলাকার বিজয়গড়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।পরিচয় দিয়েছিলেন স্বামী স্ত্রী হিসেবে। সোনালী বর্মন কাজ করতেন একটি বেসরকারি সংস্থায়। তার আসল বাড়ি বাঁশদ্রোণীতে।গত বছর ডিসেম্বরে প্রেমিকের সাথে বিজয়গর এর এই বাড়িটি ভাড়া নেন তিনি। প্রেমিক অভিক বোস পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ১১ মাসের চুক্তিতে বাড়িটা ভাড়া নিয়েছিলেন তারা। তবে পুলিশ সূত্রে খবর যে তারা লিভ ইন করতেন অথচ নিজেদের স্বামী ও স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনাটি যখন ঘটে তখন তার প্রেমিক অভিক বাড়ি ছিলেন না। তিনি ছিলেন দীঘায়। আগের দিন রাতে তার সাথে সোনালীর কথাবার্তাও হয়েছিল ভিডিও কলে। তারপর অভিক রাত একটা নাগাদ বাড়িওয়ালা ও সোনালীর বাড়ির লোকদের ফোন করে জানান যে সোনালী অসুস্থ। সঙ্গে সঙ্গে যখন বাড়ির লোকেরা সোনালীর খোঁজ করতে ওই বাড়িতে আসেন অনেক ডাকাডাকি এবং দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরেও সোনালী দরজা খোলে না। তখনই বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়েন পাড়ার লোকেরা।
দরজা ভাঙতে উদ্ধার হয় সোনালীর ঝুলন্ত দেহ। ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় সোনালী বর্মন এর অর্ধনগ্ন ঝুলন্ত দেহ। এরপরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ টি এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাথে সাথেই সোনালী বর্মন কে মৃত বলে ঘোষণা করেন ওখানকার চিকিৎসকরা।
কি কারণে ওই যুবতী আত্মঘাতী হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। আদৌ এটি আত্মঘাতীর ঘটনা কিনা সেই বিষয়ে কিছু পরিষ্কার করে বলা যায় নি। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। সোনালী বর্মন এর প্রেমিক অভিক বোসকেও করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।