কলকাতার বুকে মেট্রো বিপর্যয়ে মর্মান্তিক পরিণতি ঘটলো এক ব্যক্তির। মেট্রোতে ওঠার সময় মেট্রোর কামরার দরজায় তার হাত আটকে যায়। এবং তার দেহ বাইরে পড়ে থাকে স্টেশনে। সেই অবস্থাতেই চলতে শুরু করে মেট্রো টি। স্বভাবতই মৃত্যু হয় ওই যাত্রীর। এই ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে। সভাপতি মেট্রো রেলের নিরাপত্তা নিয়ে উঠে আসছে প্রশ্ন।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম সজল কাঞ্জিলাল। আজ সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ পার্কস্ট্রিট থেকে কবি সুভাষ গামী মেট্রো টি ধরতে যান ওই ব্যক্তি। তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। মেট্রোরেলের দরজা বন্ধ হওয়ার সময় তার হাত দরজায় আটকে যায়। কিন্তু দেহ পরে থাকে বাইরে। সেই অবস্থাতেই চলতে শুরু করে দেয় মেট্রোরেল টি। কিছু দূর যাওয়ার পর বিপদ আঁচ করে আপৎকালীন ব্রেক কষেন চালক। ট্রেন থামার পর দেখা যায় রেল লাইনে পড়ে আছে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার।
সাধারণত মেট্রোর দরজায় কিছু আটকে গেলে বন্ধ হবার পর আপনাআপনি খুলে যায় মেট্রোর দরজা। এইবারে এমন বিপত্তি ঘটলো কেন তাও খতিয়ে দেখার বিষয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে মেট্রোতে এই ঘটনা ঘটেছে ওই মেট্রোরেল টি সম্প্রতি তৈরি হওয়া একটি মেট্রোরেল। একটি নতুন ট্রেনে এমন দুর্ভাগ্যজনক যান্ত্রিক বিকলতা কিভাবে দেখা দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।সূত্রের খবর মেট্রোর যে নতুন রেক গুলো আনা হয়েছে সেগুলির দরজাতে অত্যাধুনিক সেন্সর লাগানো আছে। সেই অনুযায়ী দরজায় যদি একটি কাগজও আটকে থাকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। সেইখানে এই দিন ওই ব্যক্তির হাত এবং পা মেট্রোর দরজা আটকে গেলে ও মেট্রোর দরজাটি খোলে নি। উল্টে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে ওই অবস্থাতেই মেট্রোটি চলতে শুরু করে এবং তার ফল স্বরূপ স্বভাবতই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই যাত্রীর। ময়না তদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় মেট্রো নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা। তাদের দাবি এত অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে কাজ করলো না মেট্রোর দরজা। যাত্রীদের বক্তব্য মেট্রো স্টেশনে যেসব আরপিএফ জবানের মোতায়েন থাকেন তারাই বা কি করছিলেন?মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষর দিকে স্বভাবতই আঙুল তুলছে যাত্রীরা।