অস্ত্রোপচার করে এক যুবতীর পেট থেকে বেরোল প্রায় ১ কেজি ৬৪০ গ্রামের গয়না গাটি। এমন অদ্ভুত কান্ড ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রোগীর পাকস্থলী থেকে ডাক্তাররা পেয়েছেন সাতটি কয়েন সহ সোনার বালা আংটি কানের দুল চেন আরো বিভিন্ন রকমের অলংকার।
সাত দিন আগে ভীষণ বমি ও পেটে যন্ত্রণা নিয়ে রামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন রুনি খাতুন নামে এক যুবতী। ওই যুবতী মার গ্রামের কানাইপুরের বাসিন্দা। তার পেট থেকেই চিকিৎসকরা উদ্ধার করেছেন প্রায় ১ কেজি ৬৪০ গ্রাম ওজনের গয়না। প্রায় এক ঘন্টা ১৫ মিনিট ধরে চলেছে এই অস্ত্রোপচার। রামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসক সিদ্ধার্থ বিশ্বাস জানিয়েছেন বছর বাইশের ওই যুবতীর এক্সরে দেখে তিনি বুঝেছিলেন তার পেটে ধাতব ও কিছু আছে আর তাই থেকেই হচ্ছে বমি ও পেটে যন্ত্রণা। তাই তিনি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
রোগীর পরিবার থেকে জানা গেছে ওই যুবতী আসলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি খিদে পেলে খেয়ে নিতেন হাতের কাছে পড়ে থাকা গয়নাগাটি। তার বাড়িতে মনোহারী দোকান আছে। বাড়ির গয়না ছাড়াও তিনি সে দোকান থেকে নিয়েও গয়না খেয়ে ফেলেছিলেন। আর তার ফলে ঘটে যায় এই বিপত্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গয়না গুলো আস্ত গিলে ফেলায় সেগুলো গিয়ে পাকস্থলীতে আটকে গেছিল। চিকিৎসকরা ওই যুবতীকে ভবিষ্যতে চোখে চোখে রাখবার নির্দেশ দিয়েছেন।
চিকিৎসক সিদ্ধার্থ বিশ্বাস জানিয়েছেন তার নেতৃত্বে পাঁচ জন ডাক্তারের একটি দল ছিলেন এই অস্ত্রোপচারের জন্য। প্রায় এক ঘন্টা ১৫ মিনিট এর অপারেশনের পর ওই মহিলার পেটের ভিতর থেকেই মিলেছে অনেক ধরনের গয়না গাটি। ৬০টি কয়েন, সোনার চেন আংটি বালা ঘড়ি কানের দুল নাকের নথ পায়ের নুপুর এছাড়াও আরো অনেক কিছু। বর্তমানে যুবতীকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে