লোকরা বলে ৭ নাকি লাকি নাম্বার । এটা বিশ্বাস না করে এবার উপায় নেই । ঠিক তেমনটাই হলো ৭তম বারের মতো ফাইনালে উঠে এবার জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। গতকাল রাতে মাশরাফি টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ওয়েস্টে ইন্ডিস প্রথমে বেট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২০.১ ওভারে ৬.১৫ রান রেটে ১৩১ রান করে ।
বৃষ্টির কারনে ৫ ঘন্টার মতো খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টি শেষে ২৪ ওভারে খেলার স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ওয়েস্টে ইন্ডিস বাকি ৪ ওভারে আরো ২১ রান যোগ করে ১৫২ রান সংগ্রহো করেন।
যার ফলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে রান দারায় ২১০।
বাংলাদেশ ২১০ রান তারা করতে নেমে সৌম্য সরকারের ২৭ বলে আগুন ব্যাটিং এ জয়ের আশা খুজে পায়।
প্রথম ৫ ওভার পাওয়ার প্লেতে তামিম-সৌম্য এর ৫১ রান এনে দেয়।
যার ফলে বাংলাদেশ এর জন্য এটা প্লাস পয়েন্ট হয়ে দারায়।
কিন্তু গ্যাব্রিয়েলের পর পর দুই উইকেট পেয়ে ওয়েস্টে ইন্ডিসকে এগিয়ে নিয়ে যান।
তামিম ১৮ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পরেই দুই বলে জিরো রান করে এল বি ডাবলু হয়ে গ্যলারিতে ফিরেন সাব্বির। এর পর মুশফিক মাঠে নেমে ২২ বলে ৩৬ রান জেতার জন্য আরেকটু আশ্বাস যোগান দেয়।
মুশি-সৌম্যের জুটিতে রান আসে ৩৩ বলে ৪৯ রান।
সৌম্য ফিরেন ৪১ বলে ৬৬ রান করে। এরপর মিথুনের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ১৭ রান।
হটাৎ মুশি-মিথুন ফেরার পর আরো চিন্তা বেড়ে যায়।
কিন্তু এরপর রিয়াদ-সৌকতের চমতকার ব্যাটিং এ এতদিনের সেই ফাইনাল কাপের স্বপ্ন পূরন হয়।
মোসাদ্দেক হোসেন সৌকতের আগুন ব্যাটিং এ আসে ২২ বলে ৫২।
তার সাথে সাথে তিনি রেকরড করেন বাংলাদেশের হয়ে দ্রুতোতম ফিফটি ।
তিনি ফিফটি করেন ২০ বলে। শেষ তিন ওভারে যখন দরকার ২৭ রান তখন তার ব্যাট থেকে ১ ওভারে আসে ২৫ রান।
ফলে এর পর দরকার ২ ওভারে মাত্র ২ রান কিন্তু তখনি রিয়াদ ৪ মেড়ে এনে দেয় স্বপ্নের কাপ।
মাঠে রিয়াদ-সৌকত ১৯ এবং ৫২ রান করে অপরাজিতো থাকে।
আসা করি এই জয় বাংলাদেশের জন্য ওয়ারল্ড কাপের জন্য অনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে।tri series final