সম্প্রতি ধুপগুড়ি কলেজপাড়া এলাকায় প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে অনন্ত বর্মন নামে এক যুবক সক্ষম হয় তার প্রেমিকা লিপিকার পানিগ্রহণ করতে। সেই প্রক্রিয়াকে অনুকরণ করে আবারো প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন আরেক প্রেমিক।
তবে দুর্ভাগ্য বসে তার ফল হল উল্টো।
প্রেমিকার হাত তো মিলল না উল্টে জনতার মার জুটলো কপালে। মাথায় 5 টি সেলাই নিয়ে বর্তমানে সে ভর্তি হাসপাতালে। প্রেমিকাকে বিয়ের চাপ দিতে উল্টো বিপদ হলো ওই যুবকের।

ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকায়। ধুপগুড়ি সকল ঝরা এলাকার রাজধানী পাড়া এলাকার বাসিন্দা একটি মেয়ের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল রাকেশ রায় নামের ওই যুবকের। দুজনে বিয়েও করতে চেয়েছিলো। কিন্তু রাকেশ বেকার হওয়ায় মেয়েটির পরিবার থেকে আপত্তি উঠেছিল। তাই তাদের বিয়ে স্বভাবতই হচ্ছিল না। আর এর জন্যই করে বসে এই কান্ড ঐ যুবকটি। মেয়েটির বাড়ির সামনে ফ্ল্যাটে তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি আটকে ধরনায় বসে পড়েন ওই যুবক। তবে কিছুক্ষণ পরেই তার ফল মিলল হাতেনাতে। মেয়েটির বাড়ির লোক এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে রাকেশকে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। মারধোর করার ফলে তার মাথায় পড়েছে 5 টি সেলাই।
রাকেশ সংবাদমাধ্যমকে জানান দু’বছর ধরে তাদের এই সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে তারা দুজনেই সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে কলেজে। মেয়েটির বাড়ির লোক এই বিয়েতে আপত্তি জানালে রাকেশ ওই মেয়েটিকে বলে পালিয়ে যেতে তার সাথে। মেয়েটি তাতে রাজি না হলে শেষ শুক্রবারে এই ধরনায় বসে। তবে এই পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করেনি মেয়েটির পরিবার।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অনন্তের ওই ধরনায় বসে সাফল্যের পর এই রকম ধারণা এখন বিভিন্ন জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে। এটি ক্রমশই সমস্যার দিকে মোড় নিতে চলেছে। কিন্তু সত্যি এরকম চলতে থাকলে মুশকিল তো বটেই।