এইডস একটি মরনব্যাধী রোগ। পুনরায়ের তুলনায় এই মরনব্যাধী ক্রমবর্ধ্মানভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পরছে। বাড়ছে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। নারায়ণগঞ্জে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বীগত দিনে এ জেলাতে এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ জন, কিন্তু বর্তমান সময়ে এই রোগীর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ জনে।
এই রোগ দ্রুত মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি পাওয়ার কারন- মাদকসেবীদের দ্বারা এইডসের জীবাণুগুলো ছড়াচ্ছে। অনিরাপদ এবং একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদকসেবীরা একত্রে মাদক নিচ্ছে যার ফলে এই জীবাণু একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়াচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাকির হোসেন বলেন, কয়েক মাস আগে ২২ জনের মধ্যে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। এবং তাদের সকলেই মাদকসেবনকারী।
মাদকসেবীদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা, ‘কেয়ার-বাংলাদেশের’ কর্মকর্তা সৈয়দ রবিউল হক বলেন, প্রতি মাসেই তারা এইচআইভিতে আক্রান্ত মাদকসেবীর সংখ্যা হালনাগাদ করেন।
তিনি আরও জানান, সারা দেশে বর্তমানে এইডস রোগীদের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ৪৫৫ জন। তাদের মধ্যে ১৩ হাজারের মত মাদকসেবনকারী। যারা মাদক সেবন করতেছে তারা মধ্যে এই মরনব্যাধী দ্রুত ছড়িয়ে পরছে।
আক্রান্ত রোগীদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকায় স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, লাইট হাউস নামের একটি সংগঠন আমাদের সহযোগিতায় আগের ৪ জন শনাক্ত হওয়া রোগীকে সেবা প্রদান করছে।
তারা আগের থেকে কিছুটা ভালো অবস্থাতে আছে। তবে জীবাণু পুরাপুরি যায়নি এখনো তাদের রক্তের মধ্যে জীবাণু রয়েছে। তাদের পুরোপুরি সুস্থ করা সম্ভব হবে না তবে যতটুকু সম্ভব ততটুকু সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
যেসব রোগীদের সন্ধান পাওয়া গেছে তারা সকলেই নারায়ণগঞ্জ সদর ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দা।
রাজধানীতে স্থ্য অধিদফতরের এইডস/এসটিডি কর্মসূচি আয়োজিত এক সভায় বলা হয় এইডস ঝুকিপূর্ণ হিসেবে দেশের ২৩ জেলাকে চিহ্নিত করা হয় যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ অন্যতম।
আমিনুল হক আরও জানায়, এইডসে আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতেছে। তাদেরও চিকিৎসার আওতায় আনা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় যতগুলো উপজেলা রয়েছে তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকাতে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। অন্য কোথাও এইডসে আক্রান্ত রোগী নেই। তিনি আরও বলেন মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করার পাশাপাশি যারা সেবন করে তাদেরও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে এই দিন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলবে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি জানায়, পুলিশও এখন মাদকের বেপারে খুব কঠোর হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। মাদকের সাথে যারা জরিত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হয় না। যদি কোথাও মাদকের আড্ডা বসে এবং কেউ খবর দিলে সাথে সাথেই ব্যাবস্থা নেয়া হয়।