বুধবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালায় খলিফা হাফতরের লিবিয়া ন্যাশনাল আর্মি। বুধবার ভোররাতে চালানো হয় এই হামলা। এই হামলার কারণে শরণার্থী শিবিরে অন্তত ৪৪ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ।
লিবিয়ার রাষ্ট্রপুঞ্জের সমর্থিত সরকার জি এন এর সঙ্গে সে দেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান খলিফা হাফতরের লিবিয়া ন্যাশনাল আর্মির সঙ্গে সংঘাত দিনে দিনে চরমে পৌঁছেছে। তার ফল স্বরূপ গত সোমবার ডিএনএ কে হামলার হুমকি দিয়েছিল লিবিয়া ন্যাশনাল আর্মি। আরে সেই মতই বুধবার ভোররাতে হামলা হলো লিবিয়ার ত্রিপোলির শরণার্থী শিবিরে। ভোর রাতে আচমকাই এই হামলা শুরু হয়। সূত্রের খবর ওই শরণার্থী শিবির এ হামলা চলার সময় ৪৪ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে এছাড়া গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে জানা গেছে ওই শরণার্থী শিবিরে সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জন শরণার্থী ছিলেন। এই ৬০০ জনের মধ্যে শিশু ও মহিলাসহ আরো লোক ছিল। এ হামলা থেকে যাদের বাঁচানো গেছে তাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে এখন।

এই হামলার চরম নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জ। এই পুরো হামলার ব্যাপারটি তদন্ত করে দেখা নির্দেশ দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। লিবিয়া ন্যাশনাল আর্মি থেকে জানানো হয়েছে প্রথম হামলা চালায় জিএনএ। সেই হামলার জবাব দিতেই নাকি শরণার্থী শিবিরের ভুলবশত বোমা ফেলেছে লিবিয়া ন্যাশনাল আর্মির যুদ্ধ বিমান। ভুলবশত তাদের এত বড় একটি ভুল হয়ে যায় কিভাবে সেটি খতিয়ে দেখছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। শরণার্থী শিবিরের এই বিমান হামলা কে রাষ্ট্রপুঞ্জে যুদ্ধাপরাধ বলে ব্যাখ্যা করেছে।