প্রশ্নটা অনেকদিন থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে, মোদী যদি না ফেরেন তবে কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে এই প্রশ্ন করা হলে তার মুখ থেকেও পাওয়া গেল অন্য নেতানেত্রীদের মতই জবাব। বরং জোরের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, আপাতত তাঁর ‘পাখির চোখ’ পূর্ণশক্তিতে বিজেপি ও আরএসএস-কে হারানো।বিজেপি বিরোধী দলগুলি যত কাছাকাছি এসেছে, কংগ্রেসের সঙ্গে এক মঞ্চে সামিল হয়েছে , ততই সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে গুঞ্জনও বেড়েছে।

পুরুলিয়ায় মঙ্গলবার নির্বাচনী সভার ফাঁকে সংবাদ্মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। সেই সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, শরদ পওয়ার, চন্দ্রবাবুদের মধ্যে কাকে তার বেশি পছন্দ? রাহুল স্পষ্টতই জানিয়ে দেন তাকে সবাই মূল লক্ষ্য থেকে সরাতে চাইলেও তিনি সেই ফাঁদে পা দিতে নারাজ। সরাসরি জানিয়ে দিলেন ২৩শে মে-র আগে তিনি এই বিষয়ে কোনোমতেই মুখ খুলবেন না। এখন তার একমাত্র লক্ষ্য বিজেপি ও আরএসএস কে হারানো।
এই রাজ্যে শাসক দলের সঙ্গে তাঁদের বোঝাপড়া হয়নি। পরস্পরের বিরুদ্ধে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া তো বটেই, প্রচারেও চলেছে পারস্পরিক আক্রমণ। এই অবস্থায় ভোটের পরে উভয় দলের মধ্যে সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে, সেই নিয়েও থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।
কিন্তু রাহুল সেই প্রসঙ্গেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক অবস্থানগত বিরোধ আছে। তবে ব্যক্তিগত স্তরে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। তিনি আরো জানালেন যে তিনি তাকে যথেষ্ট সম্মানও করে থাকেন।তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মমতা আপনাকে ‘বাচ্চা ছেলে’ বলেন। আপনার কেমন লাগে? রাহুলের জবাব, ‘‘যাঁর যা মনে হয় বলুন। আমি তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমি সকলের কাছ থেকেই শিখি।’’
বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা ভেস্তে যাওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন যে আলোচনা করতে তারা ত্রুটি রাখেননি কিন্তু কিছুই ফল হয়নি তার। বামেরা যদি চায় তবে কংগ্রেস নিশ্চই বামেদের পাশে দাঁড়াবে । এ নিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর টাকাপয়সা লেনদেনের অভিযোগও পুরোপুরি অস্বীকার করেন কংগ্রেস সভাপতি।