শনিবার রাতে বীরভূমের মল্লারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা কেঁপে উঠলো বিস্ফোরণে। গভীর রাতে যখন সকলে ঘুমে মগ্ন তখন আচমকাই ঘটে এই বিস্ফোরণ। যদিও হতাহতের খবর কোন পাওয়া যায়নি তবু এই বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর।
গভীর রাতে আচমকা বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে স্থানীয় লোকেরা এসে দেখে মেঘদুত ক্লাবের পিছন দেওয়াল বিস্ফোরণে ধসে পড়েছে। বিস্ফোরণের আগুনে তখনও ক্লাব জ্বলছে দাউ দাউ করে। সঙ্গে সঙ্গে তারা খবর দেয় পুলিশ এ ডাকা হয় দমকলও। রামপুরহাটের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সূত্রে খবর বিস্ফোরণের জেরে ক্লাবের ছাদ উড়ে গেছে ছিটকে গেছে লোহার শাটারও। এছাড়াও দুধ পাশের দোতলা বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে এবং পাশেরই একটি বাড়ি টিনের চাল উড়ে গেছে। প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই সাংঘাতিক বিস্ফোরণ কিভাবে ঘটলো এই বিষয়ে জানতে এই ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর শনিবার গভীররাতে মল্লারপুর স্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গেছে ওই ক্লাবের সারাদিন কিছু না কিছু চলতেই থাকে। জিম রয়েছে একটি ক্লাবে এছাড়াও নবোদয় বিদ্যালয় ও একটি কোচিং সেন্টারে চলে সেই ক্লাবে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এমন কর্মব্যস্ত ক্লাবে কে বা কখন এই বিস্ফোরক এনে রেখে গেল। ক্লাব কর্তৃপক্ষ দাবি জানিয়েছে ‘বাইরে থেকে লোক এসে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’ তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি ক্লাবের সদস্যরা। পুলিশ তারিখ তদন্ত চালাচ্ছে এই বিষয়ে।
উল্লেখ্য বীরভূমে বিজেপির প্রথম উত্তোলন হয় এই মল্লারপুর থেকেই। এবং প্রায়শই মল্লারপুর এ তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক সংঘর্ষ লেগেই থাকে। এমন অবস্থায় এই বিস্ফোরণ এলাকায় নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এখন এই বিস্ফোরণের ঘটনার পেছনে কোন রাজনৈতিক দল জড়িত আছে কিনা তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ। স্বভাবতই বর্তমানে অশান্ত হয়ে রয়েছে বীরভূমের মল্লারপুর অঞ্চল।