গাড়ি বিক্রিতে পড়েছে ভাটার টান।এই কথা বেশ কয়েকদিন ধরেই জানাচ্ছিলেন সংশ্লিষ্ট মহল।এতদিন পর নতুন অর্থবর্ষতেও বদলায়নি সেই ছবি।গাড়ি বাজারের সেই বিবর্ণ ছবি তুলে ধরল ডিলারদের সংগঠন ফাডা।তারা দাবি অনুযায়ী মাত্র দেড় বছরের মধ্যে চাহিদা তলানিতে ঠেকাতে খরচ সামলাতে না পারায় ২৫০ জন ডিলারশিপের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।এর ফলে আর্থিক ক্ষতির সাথে সাথে বেকারত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে।ডিলারশিপ বন্ধ হওয়ার কারনে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১৭ হাজার কর্মচারী।
ভোটের মুখে এই ১৭ হাজার কাজ যাওয়ার খবর মোটেই সুখকর নয় মোদী সরকারের কাছে।দিল্লীর মসনদে বসার সময়ে তার হাজার প্রতিশ্রুতির মাঝে ‘অচ্ছে দিন’ এর প্রতিশ্রুতি ছিল সবচেয়ে জোরদার।বছরে দু’কোটি চাকরির আশ্বাসও মিলেছিল।কিন্তু সেই কাজের সুযোগ না পাওয়ায় তাকে বিরোধীদের আক্রমনের মুখেও পড়তে হয়েছিল।কর্মী পিএফের হিসেবকে ঢাল করে কেন্দ্র সেই অভিযোগ ওড়ালেও, বিভিন্ন বেসরকারি তথ্য আর সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া সরকারি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে কর্মসংস্থানের দূর্বল ছবি।
নোটবন্দির পরে যখন বিরোধীরা দেশের হাল নিয়ে মোদীকে আক্রমণ করছিলেন তখন এই গাড়ি শিল্পকেই ঢাল করে পিঠ বাঁচিয়েছিলেন মোদী।সেই সময় গাড়ি বিক্রির হিসেব ভালো হওয়ায় তার হিসেব তুলে ধরে তিনি বলেছিলেন তা অর্থনীতির ভাল স্বাস্থ্যের লক্ষন।এখন গাড়ি বাজারের এ হেন অবনতিতে স্বাভাবিক ভাবে অভিযোগের আঙুল উঠবে প্রধানমন্ত্রীর দিকে।এছাড়াও প্রশ্ন উঠবে গাড়ির চাহিদা এমন তলানিতে ঠেকা কি তবে বেহাল অর্থনীতির আয়না? বিশেষত যেখানে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ৮% আসে শুধু গাড়ি শিল্প থেকে।
ফাডা-র প্রেসিডেন্ট আশিস হর্ষরাজ কালে জানিয়েছেন গত মার্চ এবং এপ্রিলে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রিই বৃদ্ধি পেয়েছে।আর গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় গত মাসে সব ধরনের গাড়ির বিক্রি কমেছে।সিইও সহর্ষ দামানি জানান, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থা (এনবিএফসি) থেকে ঋণ প্রায় বন্ধ। বিক্রি না হয়ে ডিলারের ঘরে দীর্ঘ দিন মজুত হিসেবে পড়ে থাকা গাড়ি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে মুনাফাতেও। এর ফলে বাধ্য হয়ে তাদের ঝাঁপ বন্ধ করতে হয়েছে ২৫০ ডিলারকে।