মাদক পাচারের বিশাল চক্র ধরা পরল খোদ কলকাতার বুকে। পুলিশের কাছে খবর ছিল আগেই। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ভাঙ্গা হলো এই মাদক চক্র। অভিনব পদ্ধতিতে মাদক পাচার করতেন অপরাধীরা। হাতের বালার মধ্যে মাদক ঢুকিয়ে পাচার করতেন তারা।
এর আগে জুতোর মধ্যে ঢুকিয়ে বা শরীরের বিভিন্ন অংশের লুকিয়ে মাদক পাচারের কথা শোনা গেছে। তবে এবারে ধরা পরল বালার মধ্যে লুকিয়ে রাখা মাদক। খবর অনুযায়ী শনিবার রাতে অভিযান চালায় নারকটিক বিভাগ ও পুলিশের লোকজন। এই অভিযানের ফলে ওয়াটগঞ্জ এর কাছে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে একজন। জানা গেছে এই মাদক পাঠানোর কথা ছিল হংকংয়ে। পুলিশ অনুমান করছে একজন ধরা পড়লেও এর পেছনে রয়েছে এক বিশাল বড় চক্র।

তবে মাদক পাচারের এই অভিনব পদ্ধতি দেখে তাজ্জব বনে গেছে বড় বড় অফিসাররাও। বাংলার মধ্যে মাদক ঢুকিয়ে পাচার করা এর আগে দেখা যায়নি। বালের মধ্যে অত্যন্ত নিপুন হাতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে পলিথিনে মোড়ানো মাদক। যে ব্যক্তি ধরা পড়েছে তার নাম আব্দুর রাজ্জাক ওরফে সনু। ধৃত স্বীকার করেছে যে সে একা এই কাজ করত না তার সাথে আরো কয়েকজন এই কাজ করত। তাদের কাজ ছিল বালার মধ্যে মাদক ঢুকিয়ে সেই বালা গুলো কুরিয়ার করে হংকংয়ে পাঠানো।
পুলিশের কাছে খবর ছিল আগে থেকেই। তাই তারা পরিকল্পনামতো শনিবার রাতে করেন সেই অভিযান। ষষ্ঠীতলা রোডের একটি বাড়িতে হঠাৎ পৌঁছে যান নারকটিক দপ্তরের অফিসারেরা। তাদের সাথে উপস্থিত থাকেন কলকাতা পুলিশ বাহিনী ও। সেখানে ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হল একটি ব্যাগ যার মধ্যে থরে থরে সাজানো রয়েছে বাহারি বালা। সেই বালার ভেতর থেকেই বেরিয়ে পড়ল এই লক্ষ লক্ষ টাকার বেআইনি ড্রাগ। পলিথিনে মুড়িয়ে সরু সরু করে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওই বালা গুলোর মধ্যে। অফিসারেরা জানিয়েছেন এই নিষিদ্ধ মাদক হচ্ছে মিথাকুয়ালোন। এই ড্রাগ এর মাত্র ১ গ্রাম এর দামই ৮০০০ টাকা। যত পরিমাণ ড্রাগ ওই ধৃতের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার দাম সর্বসাকুল্যে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
ধৃত আব্দুল রাজ্জাক তার অপরাধ স্বীকার করার পর তার বিরুদ্ধে রুজু করা হয়েছে মামলা ওয়াটগঞ্জ থানায়। বর্তমানে পুলিশি অধীনে রাখা হয়েছে তাকে। বাকিদের তল্লাশি চালাচ্ছে এখনো পুলিশ।