

সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে আপনার হৃদ যন্ত্রটিকে সুস্থ সচল রাখতেই হবে ,আর টের জন্য আপনাকে স্বাস্থসম্মত ভাবে জীবনযাপন করতে হবে ,সেটি এমন কিছু কঠিন কাজ না ,যে উপায় গুলি নিয়ে আজ আলোচনা করা হচ্ছে এগুলি ঠিকঠাক মতো মেইনটেইন করতে পারলেই কেল্লা ফতে ৷
শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো হৃদ যন্ত্র, আমাদের শরীরের অক্সিজেনের যোগান দেওয়া থেকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা- সবেতেই হৃদযন্ত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে৷ তাই সুস্থ শরীরে জন্য চাই সুস্থ ও সবল একটি হূদযন্ত্র৷ শরীরটাই সামগ্রিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে যখন আমাদের হৃদ যন্ত্র সবল হয় না ,নানা ধরনের অসুখ বিসুখ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে৷ তাই একদম গোড়া থেকেই হার্টের যত্ন নিতে হবে৷ আমরা সকলেই অনেক কিছু জানি যা আমাদের এই হৃদ যন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করবে , কিন্তু অনেক সময় জেনেও তা আমরা আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারিনা ! সমীক্ষা করে দেখা গাছে যে , আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় হার্টের অসুখে৷ অনুমান করা হচ্ছে ,২০২০ সাল নাগাদ এই মৃত্যুর হার বেড়ে হবে, প্রতি তিন জনে একজন৷ এই সমস্ত মৃত্যুর কারণ হিসেবে যেমন জিন বাহিত বা পারিবারিক হার্টের অসুখের উদাহরণ রয়েছে, তেমনই আর একটা বড় কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ৷ এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে আমার আয়ের সঠিক যত্ন নেবো? এই ব্যাপারে কতগুলো বিষয়ে খেয়াল রাখতেই হবে৷ যেমন ধরুন হেলদি হার্টের জন্য প্রথমেই দরকার আপনার ব্লাড পেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, উচ্চ রক্ত চাপ হূত্পিণ্ডের ক্ষতি করে৷ সুতরাং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকা একান্ত কাম্য৷ একটু বয়স হয়ে গেলে নিয়মিত ব্লাড প্রেশারের চেক আপ করানোটা দরকার ৷


খেয়াল রাখতে হবে যাতে শরীরে কোলেস্টরেলের পরিমাণ যেন ঠিক থাকে ৷ শরীরে এল ডি এল (লো ডেনসিটি লাইপ্রোপ্রোটিন) বা ব্যাড কোলেস্টরেল বাড়া মানেই হার্টের অসুস্থতার সম্ভাবনা বেড়ে jaoya৷ তাই আগে থেকেই সাবধান হোন৷ হার্ট সুস্থ রাখতে হলে, শরীরের রক্ত সঞ্চালনও কিন্ত্ত সঠিক ভাবে হতে হবে৷ শরীরে ঠিক মতো রক্ত সঞ্চালন না হলে, কোষে কোষে অক্সিজেন ঠিক মতো সরবরাহ হতে পারবেনা৷ ফলে কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে৷ এবং তার প্রভাব হূত্পিণ্ডেও পড়ে৷ সুতরাং হূত্পিণ্ডের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত এই বিষয়গুলোর উপর নজর রাখুন৷ প্রয়োজনে ছয় মাস অন্তর বা বছরে একবার ডাক্তারি চেক আপ করান৷ সামান্য সমস্যাতেও চিকিত্সকের পরামর্শ নিন,ও প্রয়োজন মতো ওষুধ খান ৷
জীবন যাপন কিভাবে করছেন তা অতি গুরুত্বপূর্ণ ৷যদি হার্ট সুস্থ রাখতে চান ,অবশই একটু নিয়ম মেনে জীবন যাপন করুন ৷আমরা অধিকাংশ মানুষ এ কাজের এবং অনন্য চাপের মধ্যে নিজের শরীরের যত্ন নিতে ভুলে যাই, সকালে হাটতে যাওয়া ,যোগ করা এগুলোর কোনো তাই হয়ে ওঠেনা ৷ অথচ নিয়মিত শরীর চর্চা করলে শরীরে যেমন অনেক বেশি অক্সিজেনের সরবরাহ হবে, তেমনই রক্ত সঞ্চালনও ভালো হবে৷ আবার শরীর চর্চা করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷ ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে হাই ব্লাড প্রেশারের সম্ভাবনা খানিকটা হলেও কমে৷ সুতরাং নিয়মিত শরীর চর্চা করতেই হবে তবেই আপনার হার্টও সুস্থ থাকবে৷ শুধু শরীর চর্চা নয়, খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনা উচিত ৷ স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন৷ বার্গার, পিজা, অতিরিক্ত ভাজাভুজি ইত্যাদিতে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে৷ ফলে হার্টের অবস্থা খারাপ হতে বাধ্য৷ তাছাড়া দিনের পর দিন এই ধরনের খাবার খেলে বেড়ে যাবে ওজন ও ৷ সুতরাং একটা হেলদি ডায়েট মেনে চলতে হবে৷ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে ৷ মাছ আপনার মেনুতে থাকলে তা আপনার হার্ট এর পক্ষে ভালো ৷ সপ্তাহে দুই একদিন তৈলাক্ত মাছ খেতে পারেন৷এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি-যা হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে৷
হার্টের রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয় ফাইবারের পুষ্টিগুণ৷ তাছাড়া খাবারে কম পরিমান নুন ব্যাবহার করুন৷ অতিরিক্ত নুন ব্লাড প্রেশারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়৷ বাজারে যেকোনো ইনস্ট্যান্ট খাবার খাওয়ার আগে তার পুষ্টি গুন্ ও নুনের পরিমান দেখে নেবেন ৷ হার্ট ভালো রাখতে কিন্ত্ত ধূমপানের অভ্যাস একেবারেই বন্ধ করতে হবে৷ তাই আজ থেকেই নিজের হৃৎ যন্ত্র কে সুস্থ রাখার প্রয়াস শুরু করুন,নিজেও ভালো থাকুন এবং অন্য কে ভালো রাখুন ৷
