ভাটপাড়ার পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগ নিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সংসদে ভাটপাড়ার পরিস্থিতি তুলে ধরলেন তিনি। শুক্রবার সংসদে দিলীপ ঘোষ জানান ভাটপাড়ার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে তিনি প্রতিনিধি দল পাঠানোর আর্জি জানিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভাটপাড়া কাকিনাড়া সহ ব্যারাকপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক হিংসার খবর উঠে আসছে ভাটপাড়া থেকে। বৃহস্পতিবার ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। নতুন পুলিশের থানা উদ্বোধন কে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে। দিন যত বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদও ততো চড়তে থাকে। শেষমেষ গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুজনের।
শুক্রবার ভাটপাড়া কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে ব্যারাকপুর কমিশনারেট ঘেরাও করে বিজেপি. বেলা 11 টা থেকে অর্জুন সিং এর নেতৃত্বে ওই অভিযান শুরু হয় এছাড়াও জমা দেওয়া হয় স্মারকলিপি। ভাটপাড়া ও তার সংলগ্ন এলাকায় 144 ধারা জারি করা হয়। সেখানে সমানে পুলিশ টহল দিয়ে যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত 14 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুষ্কৃতী হিসেবে।
ভাটপাড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার বিজেপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ও আসবেন বলে জানা গেছে। ওই দলের নেতৃত্ব দেবেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় সংসদ সুরেন্দ্র সিংহ আহ্লুওয়ালিয়া। তার সাথে থাকবেন আরও দু’জন সংসদ তথা প্রাক্তন পুলিশ কর্তা। ঘটনার জায়গা নিজের চোখে খতিয়ে দেখে যাবেন তারা।
নির্বাচনের পর থেকেই অশান্তির আবহে দিন কাটাচ্ছেন ব্যারাকপুর পুরসভার ভাটপাড়া এলাকার লোকেরা। এখন সেই অশান্তি উঠেছে তুঙ্গে। গোলাগুলি বোমাবাজি কিছুই আর বাকি নেই সেইখানে ঘটতে।নিহতদের পরিবার এখন প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ‘পুলিশ কেন নিরীহদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ল?’ এমন প্রশ্ন তুলছেন নিহতদের পরিবার।