চা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। অনেকেই আছেন যাদের সকাল বেলা চা না খেলে দিনটাই ভালোভাবে সুরু হয় না। কিন্তু আপনি কি গরম অবস্থায় চা খেতে পছন্দ করেন? যদি গরম অবস্থায় খেতে ভালোবাসেন তাহলে সাবধান কারন সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত গরম চা খাওয়া ইসোফেগাস বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারকে ডেকে আনতে পারে। গবেষনায় বলা হয়েছে যারা নিয়মিত ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা তার বেসি গরম চা পান করেন, তাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেসি।
তবে এ ধরনের ক্যান্সার থেকে বাচার উপায়ও আছে। যদি আপনি চা তৈরি করার পরে তিন চার মিনিট রেখে, ঠান্ডা করে তারপরে খান তাহলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়, কারন চা যখন আমরা পান করি তখন এটা গলা থেকে আমাদের পেটে যায়। অতিরিক্ত গরম অবস্থায় তা যে অংশের মাধ্যমে যায় সেই অংশের ক্ষতি করে দিতে পারে।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রধান লেখক ফারহাদ ইসলামী বলেন, ‘‘অনেকেই চা-কফির মতো পানীয় খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে প্রকাশিত চা-কফি যাই হোক, সেগুলি অতিরিক্ত গরম অবস্থায় খাওয়ার অভ্যাস থাকলে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। তাই অন্তত খানিকটা ঠান্ডা করে তবেই চা বা অন্য পানীয় খাবেন।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্যান্সারে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। ৫০০৪৫ জন ব্যক্তির উপরে পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে, যাদের বয়স ৪০ থেকে ৭৫ এর মধ্যে।
প্রত্যেকদিন ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার থেকে বেশি মাত্রায় গরম সাতশো মিলিলিটার চা বা অন্য পানীয় যদি কেউ পান করেন, তা হলে তার ইসোফেগাল ক্যান্সারের আশঙ্কা ৯০% হয়ে যায় বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন। একই তাপমাত্রায় কফি বা হট চকলেটও কিন্তু সমান আশঙ্কাজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।
খাদ্যনালীর ক্যান্সার বিশ্বে অষ্টম সাধারণ ক্যানসার হিসেবে বিবেচিত হয়। পুরুষ নারী সকলের ক্ষেত্রে এটি সমানভাবে প্রযোজ্য।
২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় গরম পানীয়কে ক্যান্সারের আশঙ্কার সঙ্গে সংযুক্ত করে সাবধান বার্তা দিয়েছিল।
গরমে পানীয় মুখ থেকে গলা হয়ে নামার সময়ে টিউমারের জন্ম দিতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস।
তাই আমরা যদি একটু সতর্কভাবে গারম চা অথবা পানীয় পান করে থাকি তাহলে এসব রোগ থেকে সহজেই বাচতে পারি।