হাতে চাঁদ পাওয়ার মত থুড়ি হিরে পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে অন্ধপ্রদেশের কুর্ণুল জেলার গোলাভানেপল্লী গ্রামে। জমি চাষ করতে করতে এক কৃষক তার জমি থেকে পেলেন ৬০ লক্ষ টাকার হীরা। সন্দেহ হতেই তিনি ওই পাথরটি কে নিয়ে যান পরীক্ষা করাতে। এবং পরীক্ষা করাতেই বেরিয়ে আসে এই চক্ষু চড়কগাছ করার মতন তথ্য।
অন্যান্য দিনের মতোই জমিতে চাষ করছিলেন ওই কৃষক। হটাত ওই চাষী চাষ করতে করতে একটি স্বচ্ছ নুরি দেখতে পান। সেই নুরি দেখে সন্দেহ হয়। সাথে সাথে পাথরটিকে নিয়ে দৌড়ে যান গয়নার দোকানে। সেখানেই তার সন্দেহ শক্তিতে পরিণত হয়। পাথরটি আসলে একটি বড় সড় হিরে। যার বাজার দর অন্তত ৬০ লক্ষ টাকা।
খবর পেতে ওই চাষের কাজ থেকে হিরো এটি ১৩.৫ লক্ষ টাকা ও ৫ তোলা সোনা দিয়ে কিনে নেন এক স্থানীয় হিরে ব্যবসায়ী। ওই হিরে ব্যবসায়ীর নাম আল্লাহ বক্স। তার মতে ওই হীরে কেটে এবং পালিশ করার পর তার দাম ৬০লক্ষ টাকা অব্দি পৌঁছতে পারে। তবে যাকে-তাকে দিয়ে এই কাজ করালে হবে না একজন অভিজ্ঞ কারিগর কে দিয়েই এই হীরেকে পালিশ এবং কাটাতে হবে। দামের ব্যাপারে বললেও ঐ হিরে ব্যবসায়ী এখনো ঐ হিরের আকার, রং বা ঐ হিরের সম্বন্ধে অন্যান্য তথ্য নিয়ে কিছুই খোলসা করে বলেননি। হীরের খোঁজে কত লোকে কত পথ পেরিয়ে কত কষ্ট সহ্য করে অভিযানে যায়। সেইখানে এই কৃষক না খুজতেই পেয়ে গেল এই অমূল্য রতন।
যদিও অন্ধপ্রদেশের এই অংশে হিরো পাওয়ার ঘটনা কোনো নতুন ব্যাপার নয়। বর্ষাকালে কোন জেলায় আশেপাশে চাষের ক্ষেত এবং নদীর পাড় থেকে অনেকেই আগে পেয়েছেন হিরে খুঁজে। এটি এমন একটি হুজুক হয়ে গেছে যে প্রত্যেক বছর বর্ষার সময় তুঙ্গভদ্রা নদী ও হুন্ডরী নদীর পাশে তাবু করতে শুরু করেন অনেকে এসেই। বর্ষা বালিকাদের মধ্যে খোঁজ চলতে থাকে হীরের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই বছরই ১২ ই জুন জন্নাগিরি গ্রামে ভেড়া চড়াতে গিয়ে হিরে খুঁজে পেয়েছিলেন এক ভেড়া পালক। তিনি তার হীরাটি কুড়ি লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। তাই অন্ধপ্রদেশের এই অঞ্চলে হিরে পাওয়ার ঘটনা কোনো নতুন ঘটনা নয়। তবে লক্ষ লক্ষ লোক হিরে খুঁজতে লেও এই কৃষক একটুও চেষ্টা না করে ও পেয়ে গেলেন ৬০ লক্ষ টাকার হীরে। একি ভাগ্যের জোর ছাড়া আর কি বা বলা যায়।