আমরা আমাদের রোজকার জীবনে এমন অনেক খাবার খায় যার সম্বন্ধে আমরা ঠিকঠাকভাবে জানিও না। এটি আমাদের কাছে এত সাধারন ব্যাপার যে জানার চেষ্টা করি না যে পদার্থটি আমরা আমাদের নিজের শরীরের ভেতর প্রেরণ করছি তা আসলে আমাদের শরীরের জন্য উপযোগী কিনা। আর এই অবহেলার জন্যই আমাদের শরীরের ওপর ঘনিয়ে আসতে পারে সাংঘাতিক বিপদ।
আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কিছু সাংঘাতিক বিষাক্ত পদার্থ। অবশ্যই যা আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এখন জেনে নিন আমাদের এই নিত্য খাবারের মধ্যে কোন জিনিসটা শরীরের পক্ষে ভালো নয়। এবং জানার পর সেই মত খাদ্য গ্রহণ করুন।
সবুজ আলু
আলু আমাদের রোজকার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বাঙালিরা সাধারণত প্রত্যেকটি খাবার আলু যোগ করে থাকে। আলু প্রীতি বাঙ্গালীদের মধ্যে অনেক দিন আগে থেকেই আছে। এখন এই আলুর মধ্যেই লুকিয়ে আছে কিছু বিপদজনক পদার্থ। যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করে দেবে আপনার শরীরের। কিছু কিছু আলুতে সূর্যের আলো লেগে গিয়ে আলুর রং সবুজ হয়ে যায়। এই সবুজ রং হওয়া আলু কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয়। বাজার থেকে কিনে আনার সময় অনেক সময় সেই সবুজ হওয়া আলু আমাদের ঘরে চলে আসে এবং আমরা অতটা পাত্তা না দিয়ে সেটিকে নিজেদের খাদ্যের মধ্যে যোগ করে দিই। এটি করা একেবারেই উচিত নয়। আলুর ওই অংশ কেটে গেলে মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া এমনকি মৃত্যুও হতে পারে মানুষের। তাই এরপর থেকে সবুজ হয়ে যাওয়া আলো ঘরে এলে দয়া করে সেই আলু ফেলে দেব।
আপেলের বীজ
কথায় আছে রোজ একটি করে আপেল ডাক্তার কে দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না এই আপেল এর মধ্যে লুকিয়ে আছে সাংঘাতিক ধরনের বিষ। আপেলের মধ্যে যে বীজ থাকে সেই বীজেও সায়ানাইড নামক এক বিষাক্ত পদার্থ থাকে। যদিও ব্রিজের উপর একটি আস্তরণ থাকে যা আমাদের শরীরকে ওই সায়ানাইড থেকে রক্ষা করে। কিন্তু তাও কথায় বলে সাবধানের মার নেই। তাই এবার থেকে আপেল খাওয়ার সময় খুব সাবধানে দানা বাঁচিয়ে খাবেন। ভুল করেও যেন বীজ পেটে না চলে যায়।
জায়ফল
আমাদের দেশে মসলার বেশ খ্যাতি আছে। তাই রান্নার সময় আমাদের দেশের রান্নায় মসলার ব্যবহার খুব বেশি দেখা যায়। সেই রকমই কেউ কেউ রান্নায় জায়ফল ব্যবহার করতে ভালোবাসেন। রান্নায় জায়ফল দিলে রান্নায় অন্য একটি সুগন্ধ চলে আসে এবং স্বাদও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। তবে এই জায়ফলের মধ্যেও রয়েছে সাংঘাতিক ধরনের পদার্থ যা শরীরের ক্ষতি করে। অতিরিক্ত জাইফল শরীরে চলে গেলে এর থেকে হ্যালুসিনেশন হয় এবং এটি ঘুম ঘুম ভাব ও বাড়িয়ে তোলে।
পরবর্তীতে পড়ুনঃবড় পর্দায় ফের আসতে চলেছে আমির-সালমান জুটি! তৈরী হচ্ছে ‘আন্দাজ আপনা আপনা টু’
আম
গরমকালে আম আমাদের সকলের প্রিয় খাদ্য। এই ফলকে ফলের রাজাও বলা হয়। বাঙালি অপেক্ষা করে বসে থাকে গরমের জন্য কখন বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির আম মিলবে। তবে সেই আমেও রয়েছে কিছু ক্ষতিকর পদার্থ। আমির মধ্যে ইউরোশিয়ল নামে এক প্দার্থ থাকে। এই একই পদার্থ আইভী নামে এক বিষেও থাকে। কারুর যদি অ্যালার্জির প্রবণতা থাকে অতিরিক্ত আম খেলে তার শরীরে কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত আম খেলে সারা শরীরে তাদের এলার্জি দেখা দিতে পারে, এছাড়াও চামড়ায় দাবদাহের সৃষ্টি হতে পারে, এমন কি হতে পারে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও। তুই অবশ্যই গরমকাল আসলে আম খান।তবে অতিরিক্ত নয়।
আমন্ড
অনেকেই আমন্ড খেতে পছন্দ করেন। যারা যারা শরীর সুস্থ রাখার জন্য ডায়েট করেন তারা আমন্ড বাদাম কে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন। তবে এই বাদামের মধ্যে লুকিয়ে আছে কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ। আমন্ড বাদাম সাধারণত দুই প্রকারের হয়, একটি হচ্ছে তেতো আমন্ড ও অন্যটি মিষ্টি আমন্ড। কিন্তু এই দুই প্রকার আমন্ড বাদাম এই অ্যামিগডালিন নামক পদার্থ থাকে। এই কমপাউন্ডটিতেও সায়ানাইড থাকে। তাই মিষ্টি বাদাম খেলে ও তেতো আমন্ড বাদাম কখনই খাওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুনঃফের ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ উঠল আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে!
উপরোক্ত এই খাবারগুলি সাধারণত আমরা প্রত্যেক দিনই আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে রাখি। তবে কোন খাদ্য এই শরীরের মধ্যে প্রবেশ করানোর আগে তার মধ্যে কি উপাদান আছে এবং তার শরীরের জন্য কতটা উপযোগী তা দেখে নেওয়া আবশ্যক। তাই এবার থেকে যে কোন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন তাতে কি উপাদান আছে এবং সেটি আপনার শরীরের কোন ক্ষতি করছে কিনা।