সোমবার সকালে সাড়ে ছটা নাগাদ বেঙ্গালুরুতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিশিষ্ট অভিনেতা পরিচালক ও নাট্য ব্যক্তিত্ব গিরিশ কারনাড। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল 81 বছর।
শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ক্রমশই তার সমস্ত অঙ্গ বিকল হয়ে যায় এবং শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শিল্পজগতে এক বিশেষ জায়গা জুড়ে তিনি ছিলেন। শুধুমাত্র একজন ভালো অভিনেতা হিসেবেই নয় একজন পরিচালক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন কারনাড। জ্ঞানপীঠ পদ্মশ্রী পদ্মভূষণ এর মত সম্মান ও পেয়েছিলেন তিনি।
তিনি ছিলেন এক বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা। তবে শুধুমাত্র থিয়েটার নয় এর পাশাপাশি অসংখ্য হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে পুকার মন্থন ইকবাল ডোর টাইগার জিন্দা হ্যায় এর মত ছবি। সম্প্রতি বলিউডের হিন্দি সিনেমাতেও তাকে দেখা গেছে। ডোর নামক ছবিতে এক দাপুটে শশুরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়াও টাইগার জিন্দা হ্যায় ছবিতে ও অফিসার হিসেবে দেখা গিয়েছিল এই প্রখ্যাত নাট্যাভিনেতা কে। আর কে নারায়ণের বিখ্যাত লেখা মালগুড়ি ডেজ এর উপর ভিত্তি করে জি টিভি সিরিয়াল টি হয়েছিল তাতেও এক বিশিষ্ট ভূমিকাতে অভিনয় করতে দেখা গেছে গিরিশ কারনাড কে।
১৯৩৮ সালে বর্তমান মহারাষ্ট্রের মাথেরান এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন কারনাড। তিনি একসময় কাজ করতেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস এ। ধীরে ধীরে চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি অভিনয় ও লেখালেখিতে চলে আসেন এই অভিনেতা। ১৯৬১ সালে তার বিখ্যাত নাটক যাত্রী মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকটি তাকে এনে দিয়েছিল দেশজোড়া খ্যাতি। এরপরেও আমরা দেখে গেছি তুঘলক হায়াভাদানা এর মত তার বিখ্যাত সব নাটক।
তিনি একজন প্রতিবাদী ব্যক্তিত্বও ছিলেন। একবার সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নিজেকে আরবান নকশাল বলে প্রতিবাদে নামেন তিনি। মামলাও রুজু করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠে এসেছিল তিনি নাকি নকশালদের উৎসাহ দিচ্ছেন। কিন্তু কিছুতেই পিছু হটেননি গিরিশ কারনাড। অবিচল’ ছিলেন নিজের মন্তব্যে।
অবশেষে সোমবার সকালে এই প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশ কারনাড এর জীবনের যবনিকা পতন হলো। তিনি চলে গেলেও সব সময় তিনি থাকবেন মানুষের মনে।