বুধবার অনন্ত নাগের বাস স্ট্যান্ডে চি গলির অক্সফোর্ড স্কুলের কাছে ঘটে জঙ্গি হামলা। দুটি গাড়িতে করে জঙ্গিরা এসেছিল। জঙ্গিদের সবার মুখ ছিল ঢাকা। তারা সেখানে নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলা চালায় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছিল। এলাকার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
এই জঙ্গি হামলার দায় এখন চাপানো হচ্ছে সরাসরি পাকিস্তানের উপর। বৃহস্পতিবার জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক দাবি করেন যে ওই হামলা পাকিস্তানের নির্দেশেই হয়েছে। বুধবার হয়েছিল এই হামলাটি। এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল সিআরপিএফ জওয়ানরা। এই হামলায় শহীদ হয়েছেন পাঁচজন সিআরপিএফ জওয়ান এবং নিহত হয়েছে এক জঙ্গি। জঙ্গিদের সাথে সেনাদের প্রচন্ড রকম গুলির লড়াই হয় এবং জঙ্গিদের গুলিতে বেশ কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন।
এই হামলার দায় পাকিস্তানের মদত পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন আল উমর মুজাহিদীন স্বীকার করে নেয়। বৃহস্পতিবার এই জঙ্গি হামলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল বলেন পাকিস্তানই দায়ী এই হামলার জন্য। এই দিন শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তিনি আরো বলেন জম্মু-কাশ্মীরে যখনই শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয় তখনই পাকিস্তান উপত্যকায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে। তিনি বলেন লোকসভা নির্বাচনে কাশ্মীরে কোনো গোলমাল যেহেতু হয়নি তাই জন্যই পাকিস্তান আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় মদত দিচ্ছে। আর এই কারনেই তিনি অনন্ত নাগের হামলাকে হাল্কা ভাবে নিতে চাইছেন না।

দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার একটি অংশ পুলওয়ামা। যেখানে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি হয়েছিল জঙ্গিহানা। সেখানেও আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল সিআরপিএফ জাওয়ান রা। সেই হামলায় প্রায় 40 জন আধা সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন।
সেই ভয়ঙ্কর হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানের মদত পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জয়েশ ই মহম্মদ। এরো পাল্টা উত্তর ও ভারতীয় বায়ুসেনা দেয়।জয়েশের সবচেয়ে বড় জঙ্গি ঘাঁটিতে এরপরে হামলা চালায় ভায়ুসেনা এবং গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সেই জঙ্গি ঘাঁটি।
অনন্ত নাগের এই জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তরে ও জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানকে। তিনি বলেছেন ভারত ও পিছু হটবে না। পাকিস্তানি জঙ্গিদের নিধন করা হবেই। এবং প্রত্যেকটা হামলার সঠিক জবাব দেবে ভারত।