হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমান সময়ে বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ। বিশ্বজুড়ে প্রায় দেড়শ কোটি ইউজার আছে হোয়াটসঅ্যাপের। জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপেরও কিছু দুরবলতা রয়েছে। এবং সেই দুরবলতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন বা অন্যান্য ডিভাইসে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার বসিয়ে তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু নির্দিষ্ট সংখক ব্যবহারকারীকে লক্ষ করে এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বিসিবির খবরের মাধ্যমে জানা যায়, ইসরাইলি সিকিউরিটি ফার্ম এনএসও গ্রুপ এই সাইবার হামলা চালানোর জন্য স্পাইওয়্যার বাজারে ছেড়েছে।
হ্যাকাররা টার্গেট করা ব্যক্তিকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে তাদের ফোনে নজরদারির ওই সফটওয়ার ইনস্টল করতে পারছে।
এনএসও গ্রুপ বলছে, তাদের এই প্রযুক্তি পণ্যের মাধ্যমে টার্গেট করা ব্যক্তিকে ফোন করা হয় তিনি সারা না দিলেও একটি কোড তার মোবাইল বা ডিভাইসে চলে যায়।
অধিকাংশ সময় এই ফোন কল কল লগ-এ থাকে না। এনএসও’র ‘পেগাসাস’ নামের এই প্রোগ্রামটি মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইসের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন সচল করতে পারে, সব ইমেইল, মেসেজ খতিয়ে দেখে এবং ডিভাইসটি কোন এলাকায় আছে তাও বের করতে পারে।
ইসরাইলি কোম্পানি এনএসও মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে পন্যটি বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধ দমনে সরকারকে সহযোগিতার করার জন্য এটা তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয় বলে জানালেও কতজন মানুষ ভুক্তভুগি হয়েছেন এতে সেটার তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ দিতে পারেনি। সতর্কতার সার্থে অ্যাপটির সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।