সঙ্গীকে ভালোবাসা জানাতে অনেক পন্থাই আজকাল ব্যাবহার করে থাকেন বহু প্রেমিক- জুটি | কিন্তু তবুও সবকিছু কে পেছনে ফেলে আজ বাজিমাত করে দেয় উস্নতার স্পর্শ | লং ড্রাইভ , ক্যান্ডেলাইট ডিনার , উপহার তো আছেই ,তবুও একবার সঙ্গীর হাত ধরে “ভালোবাসি “বলাটা কোথাও না কোথাও খুবই দরকারি | ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে একটু দুজনের জন্য সময় বের করে,সঙ্গীর তালু তালুবন্দি করে ফেলা শুধু সম্পর্কের জন্য না ,সুস্থ জীবনের ও চাবিকাঠি বলে গবেষক রা মনে করেন |

জীবনে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে দেখা হওয়া, তার সঙ্গে সম্পর্কে বাঁধা পড়া ও একত্রে বাস করা— এগুলো সবই যদি সুখী জীবনের ছবি হয়, তবে দুজনে মিলে সুস্থ জীবনের স্বার্থে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলাও অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ । এই ‘হাত ধরা’-তেই মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি লুকিয়ে বলে দাবি চিকিৎসাবিজ্ঞানের।আর এতেই আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন হৃদরোগ, ব্যথা বেদনা, ব্যস্ত জীবনের স্ট্রেস |হ্যা এটাই সত্যি এরম টাই মনে করছেন মনোবিদদের অধিকাংশ |তবে অব্যশই ভালোবাসার মধ্যে দিয়েই এই হাত ধরতে হবে ,নিছক হেঁয়ালির ছলে না|

বিশ্বাস, ভালবাসা ও সহমর্মিতা এইগুলি থাকলে মানসিক চাপ উধাও হবে সারা দিনের কাজের চাপ, ক্লান্তি-বিরক্তি এ সবই সরিয়ে দিতে পারেন শুধু এক ছোঁয়ায়।,মনোবিজ্ঞানী অমিতাভ মুখোপাধ্যায় এর মতে,হাতে হাত রাখলে সম্পর্কে পুরোনো আস্থা ,নিরাপাত্তা ,এবং আত্মবিশ্বাস ফায়ার পাওয়া যায় |শরীরে ব্যথা-বেদনার দাওয়াইও যে ভালবেসে হাত ধরার মধ্যে লুকিয়ে তা বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করেছেন কলোরাডো বোল্ডার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তাঁদের দাবি এতে যে ফিল গুড হরমোন ক্ষরিত হয়, মরফিনের মতো বেদনানাশক ওষুধের চেয়েও তা শক্তিশালী।প্রায় বারোশো দম্পতির উপর পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দেখেন যে দিনের অন্তত পাঁচ-দশ মিনিট সঙ্গীর হাত ধরে বসে থাকেন এমন মানুষদের ক্ষেত্রে ব্যথা-বেদনায় ভোগার সম্ভাবনা কমে যায় প্রায় ৬৫ শতাংশ |লস অ্যাঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা হাজার দম্পতির উপর গবেষণা করে দেখেন ,ভালবাসা বোঝাতে হাতে হাত রাখেন এমন দম্পতির প্রায় ৭৫ শতাংশই সঙ্গীর চাহিদা ও অব্যক্ত কথা প্রায়শই বুঝে যান। বাকি ২৫ শতাংশ অল্প ইঙ্গিতেই বোঝেন সঙ্গীর মনের কথা।

আয়োজক ম্যাথু হার্টেনস্টেনের মতে, লভ হরমোন অক্সিটোসিন ক্ষরণে সাহায্য করে হাতের উপর হাত রাখার অভ্যাস। এই উষ্ণতাতেই যৌন জীবন, একে অন্যের সহমর্মী ও বিশ্বাসী হয়ে ওঠার ঝোঁক বাড়ে|একটি মেডিকেল জার্নাল অনুযায়ী ,অতিরিক্ত মানসিক চাপ, হার্টের অসুখ ,নিয়মিত রাত জাগার খারাপ আভাস এর প্রভাব থেকেও মুক্তি দেয় দুজনের হাতের স্পর্শ |হাতে হাত রাখার মাধ্যমে সঙ্গীর প্রতি যে উষ্ণতা অনুভব হয় , তাতে সে বেঁচে থাকার বাড়তি টান ও বিপদকে মোকাবিলা করার মানসিক শক্তি পায় বলে দাবি ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের। এই মতে সায় রয়েছে কলকাতার মনোবিদদেরও।সম্পর্ক যতই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাক না কোনো ভালোবেসে যদি হাত একবার ধরা যায় শেষ হয়ে যায় অনেক তিক্ততা ,অভিমান,|ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জুড়তেও আর জুড়ি মেলা ভার |পরস্পরের জন্য টান ভালোবাসা থাকলেই কোনো অজুহাত ছাড়াই ধরে ফেলুন হাতটি |এতে আপনাদের সম্পর্কেই গড়ে উঠবে বোঝাপড়া,ও ভালোবাসার দৃঢ় বন্ধন |
তাই দেরি না করে আ
জ ই ভালোবাসার মানুষটিকে হাত ধরে কাছে টেনে নিন ,নিজের এবং তার সুস্থ জীবনের সুগঠিত বুনিয়াদ গড়ে তুলুন !