খুশকি আজকালকার দিনের খুবই সাধারন একটি সমস্যা।এই সমস্যায় আজকাল কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন।তবে হয়ত লক্ষ্য করে দেখেছেন এই সমস্যা সারা বছর একরকম থাকে না।যেমন খুশকির প্রবলতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় শীতকালে , গরমকাল কিংবা অন্য ঋতুতে তার উপস্থিতি অনুভব করা গেলেও তার প্রবলতা কম থাকে।সাধারনত মাথার স্কাল্প শুকিয়ে গেলে কিংবা ছত্রাক সংক্রমন হলেই এই খুশকির উপদ্রব দেখা যায়।এই খুশকির হাত থেকে অব্যহতি পাওয়ার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় দেখে নিন-
- গ্রিন টিঃ
কিনে নিন পেপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল, হোয়াইট ভিনিগার আর গ্রিন টি। একটি পাত্রে গ্রিন টি ফুটিয়ে নিতে হবে। তার সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে দু-তিন ফোঁটা পেপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল। এরপর এই মিশ্রনে এক চামচ হোয়াইট ভিনিগার মেশাতে হবে। তারপর কিছুক্ষন রেখে দিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। যখন স্নান করবেন, তখন মাথা ধোওয়ার পরে এই মিশ্রন দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। মাথায় মাসাজ করুন এরপর। এরপর ভালো করে স্নান করে নিন। গ্রিন টি-র মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার খুশকি কমাতে সাহায্য করবে।
- টক দইঃ

খুশকি কমানোর জন্য টক দই-এর কোনো বিকল্প নেই। অল্প পরিমাণে টক দই খোলা অবস্থায় রেখে দিন এক থেকে দু’দিন। তারপর মুখে যেভাবে মাস্ক লাগান, সেভাবেই মাথার তালুতে মাস্কের মতো করে এই ফারমেনটেড টক দই লাগিয়ে নিন। এই অবস্থায় এক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর খুব হালকা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। মনে রাখবেন, হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করা জরুরি।
- অ্যাসপিরিনঃ

প্রতিদিনের ব্যবহার করা শ্যাম্পুর সঙ্গে দুটো অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রন দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। শুধু শ্যাম্পুটা মাখানোর পর মিনিট দুয়েক রেখে দিলে ভালো হয়। অ্যাসপিরিনের মধ্যে থাকা সালিসাইলেট মাথার ত্বকের উপকার করে এবং খুশকি আটকাতে সাহায্য করে।
- বেকিং সোডাঃ

অ্যান্টিফাংগাল হিসেবে বেকিং সোডা খুব কার্যকরী। খুশকি কমাতে এটিও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ন। প্রথমে স্বাভাবিক ভাবে মাথা ধুয়ে নিন। তারপর মাথায় বেকিং সোডা লাগিয়ে নিন। যেখানে খুশকি হয়েছে সেখানেই প্রধানত লাগাবেন এই সোডা।এক-দু’মিনিট এই অবস্থায় রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। খুশকির পরিমাণ কমবে।
- নিম পাতাঃ

শুধুমাত্র নিম পাতা দিয়েও খুসকি আটকানো সম্ভব। কারণ নিমের মধ্যে থাকা উপাদান খুসকি তৈরি করা ব্যাকটেরিয়া মারতে পারে। ফলে খুশকির পরিমাণ কমে। নিম পাতা রাতে চার-পাঁচ কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিন তরলটিকে ছেঁকে নিন। তারপর মাথার তালুতে তরলটি লাগিয়ে রাখুন। একঘণ্টা এইভাবে মাখিয়ে রাখার পর মাথা ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি কমে যাবে।
- নারকেল তেলঃ

নারকেল তেলের মধ্যেও আছে ফাংগাস বিরোধী উপাদান । তাই এই তেল ব্যবহার করলে খুশকির পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। পাঁচ ফোঁটা নারকেল তেলের সঙ্গে পাঁচ থেকে দশ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এই মিশ্রন দিয়ে মাথার স্কাল্প ভালো করে মাসাজ করুন। এই মাসাজ রাতে করাই ভালো। একেবারে সকালে শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে নিন। মনে রাখবেন, সারা রাত মাথা এই তেলের মিশ্রন মাথায় মাখানো থাকলে খুশকি সারবে সহজে।
এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলেই সহজেই জেদি খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।