দৈনিক জীবনযাপনের খরচ এখন অনেক বেশী।এইদিকে কিছু জিনিস আছে এমনই দরকারী যে সেইগুলো ত্যাগ করার কোনো উপায় নেই।সেইরকমই একটি জিনিস হল বিদ্যূত।শুধু শহরে নয় এখন গ্রামের দিকেও চলে গেছে বিদ্যূত সরবরাহ।এখন বিদ্যূত ছাড়া দিনযাপন করাও অসম্ভব হয়ে উঠেছে।অথচ বিদ্যুতের বিল যখন আসে তখনই মাথায় পড়ে বাজ।ভেবেই কুলকিনারা পাওয়া যায় না কিভাবে এল এত টকার বিল।কিন্তু কিছু উপায় আছে সেইগুলি অবলম্বন করলে অনায়াসেই বিদ্যুৎ খরচ করেও সাধ্যের মধ্যে আনতে পারবেন আপনার বিদ্যুতের বিল ।
জেনে নিন বিদ্যুতের বিল বাঁচানোর উপায়গুলোঃ
১।বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে মাঝে মধ্যেই বাল্ব বা টিউবগুলি পরিস্কার করুন।এই বাল্ব বা টিউবের তার বা ফিলামেন্টে যদি ধুলো জমে যায় তবে অনেক বেশী বিদ্যুত টানে।তাই ভালোভাবে এই বাল্ব ও টিউবগুলো পরিস্কার করে রাখুন।যাতে এতে কোনো ধুলো জমতে না পারে।
২।যখন কোনো ঘর থেকে বেরোবেন মনে করে সেই ঘরের লাইট পাখা বন্ধ করে বেরোবেন।কিংবা বাথরুম ব্যবহার করার পর বাথরুমের লাইট মনে করে বন্ধ করবেন।অনেক সময় আমরা বেখায়েলে লাইট পাখা বন্ধ না করে কিংবা বাথরুমের লাইট বন্ধ না করে বেরিয়ে আসি।এতে অযথা বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল আসে বেশি।
৩।ফোন যখন চার্জে বসাবেন তখন ফোন ফ্লাইট মোডে দিয়ে রাখবেন।এতে ফোনও তাড়াতাড়ি চার্জ দেওয়া হয়ে যাবে এবং বিদ্যুতও তার ফলে কম খরচ হবে।
৪।যদি আপনার ঘরে এয়ার কন্ডিশন থাকে তবে এয়ার কন্ডিশন চলাকালীন পাখা চালাবেন না।দুটো একসাথে চললে বিদ্যুত খরচা হয় অনেক বেশী।এয়ার কন্ডিশন বন্ধ করার পর অবশ্যই মেইন সুইচ মনে করে বন্ধ করে দেবেন।
৫।আপনার ঘরে যদি ফ্রিজ থাকে তবে তাকে খোলার পর তার দরজা ভালো করে বন্ধ করুন।ভুলেও যদি ফ্রিজের দরজা খোলা থেকে যায় তবে বিদ্যুত খরচ হয় অনেক বেশী।ফ্রিজ বার বার খোলা হলেও বিদ্যুত খরচ হয় অনেক বেশি।
৬।ওয়্যারিংয়ের সময় কমদামী তার ব্যবহার করবেন না।এতে ক্ষতি হবে আপনারই। এমন না করে প্রথম থেকেই ব্যবহার করুন দামি তার। এতে এক বার একটু খরচ হলেও সারা জীবনের খরচের কমে যাবে। ফ্যান-আলো এ সবও ৫-৬ বছর অন্তর বদলানো দরকার।
৭।এখন সব বাড়িতেই আধুনিক ওয়্যারিংয়ের ব্যবহার প্রচলিত।তা থাকে দেওয়ালের প্লাস্টারের ভিতরে।দেওয়ালের প্লাস্টার চটিয়ে তা সব সময় বদলানো যায় না। কিন্তু ওয়্যারিং অনেকদিনের পুরোনো হয়ে গেলে তা হয় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচের জন্য দায়ী। তাই দশ বছর অন্তর প্লাস্টার চটিয়ে বদলে ফেলুন ওয়্যারিং। এটি করা প্রয়োজনীয়।
৮।প্রয়োজন না থাকলে ঘরে চড়া আলো ব্যবহার করবেন না।কিছু কাজ যখন করছেন না তখন ঘরে কম পাওয়ারের আলো জ্বালান।কম বিদ্যুৎ খরচ হওয়া আধুনিক পদ্ধতির আলো ব্যবহার করুন।
৯।অন্য ঘরে কোনো কাজ না থাকলে পরিবারের সদস্যরা একঘরে এসে বসে থাকুন।এতেও অনেকটা বিদ্যুত খরচ কমানো যাবে।
১০।ফ্রিজের নিচে বা পিছনে থাকা কন্ডেনসার কয়েলটি মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করুন। এতে ময়লা জমে থাকলে, বিদ্যুতের খরচ প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়।তাই এইসবগুলো মাঝে মধ্যেই পরিস্কার করে রাখুন।
উপরে উল্লেখিত এইসব উপায় আপনি গ্রহণ করলে আপনি কমাতে পারবেন আপনার মাসের শেষের বিদ্যুতের বিলের বোঝা।
সম্পর্কিতঃভাগ্য পরিবর্তন হবে এই বাস্তুর টোটকা গুলো মেনে চললেই – দেখে নিন উপায়গুলো