মনে যা চলে তার ছাপ মানুষের মুখে পড়ে।যেমন চিন্তা হলে কপাল কুঁচকে যায় কিংবা খুব আনন্দ হলে তার ছাপ পড়ে আমাদের চোখে।তাই উপায়গুলো জানা থাকলে সহজেই মানুষের মুখ দেখে মানুষ চেনা সম্ভব। যদিও কথায় বলা হয়, বইয়ের মলাট দেখে কোনো বইকে বিচার করতে নেই।কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বইয়ের মলাটই আমাদের জানান দিয়ে দেয় বইয়ের ভেতরের কথা।
বিশেষজ্ঞরা এই ব্যাপারে কি মতামত প্রকাশ করছেন দেখে নেওয়া যাক।
দেখে নিন মুখ দেখে মানুষ চেনার উপায় গুলো:
১.হাস্যরসের পরিচয়:
কোনো মানুষ রসিক না ভীষনভাবে গম্ভীর সেটা নির্ণয় করা যায় মুখের গঠন দেখে।বিশেষজ্ঞদের মতে মুখের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখে বলে দেওয়া যাবে তার মধ্যে হাস্যরসের উপস্থিতি আছে কি না।
কোনো মানুষের নাকের সাথে উপরের ঠোঁটের দূরত্ব দেখে এই রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব।যার নাকের থেকে ওপরের ঠোঁটের দূরত্ব যত বেশী হয় তার মধ্যে হাস্যরসের পরিমান তত বেশী থাকে।
২.লোকসমাজে মেশার ক্ষমতা:
গবেষকদের মতে চোখের থেকে ভ্রূয়ের দূরত্ব বলে দেয় কোনো ব্যক্তি মিশুকে কি না।কোনো ব্যক্তির ভ্রূ যদি চোখ থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থান করে তবে বুঝতে হবে সে মিশুকে নয়।সে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসে এবং নিজের কথা ব্যক্তিগত রাখতেইই পছন্দ করে।
৩.বিচক্ষণতা :
ব্যক্তি কতটা বিচক্ষন তাও নির্ধারণ করা যায় ব্যক্তির মুখ দেখে।একজন ব্যক্তির চোখের পাতা যদি মোটা হয় এবং তা যদি কোঁকরানো হয় তবে বুঝতে হবে সেই ব্যাক্তির বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতা রয়েছে।আর যে ব্যক্তির চোখের পাতায় কোনো ভাজের রেখা দেখা যায় না সেই গবেষকদের মতে সেই ব্যক্তি খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
৪.ব্যক্তির সহন শক্তি:
কোনো ব্যক্তির সহ্য ক্ষমতাও বোঝা যায় ব্যক্তির দুটি ভ্রূএর মধ্যেকার দূরত্ব দেখে।দুইটি ভ্রুর মধ্যেকার দূরত্ব যত বেশী হয় তার সহ্যক্ষমতা হয় তত বেশী।
৫.আকর্ষণ করার ক্ষমতা:
চোখ হল মুখমন্ডলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু।বিশেষজ্ঞদের মতে চোখের মনির ওপর নির্ভর করে কোনো ব্যক্তির আকর্ষণ ক্ষমতা।যার মনির গভীরতা বেশী তার আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশী।
৬.ব্যক্তির স্বভাব:
যার ঠোট যত বেশী মোটা হয় তার স্বভাব তত বেশী নম্র হয়।তার কথাবার্তা আচার আচরণ হয় ভদ্র স্বভাবের।যার ঠোট পাতলা হয় তারা হয় বাচাল স্বভাবের। তারা কথা বলার আগে দুবার ভাবে না।
এই বৈশিষ্ট্যগুলির মাধ্যমেই আপনি এখন চিনে নিতে পারবেন মানুষের স্বভাব চরিত্র।