অনেক বাধাবিপত্তি কাটিয়ে আইপিএল হচ্ছে সংযুক্ত আমিরশাহিতে। টিভির পর্দায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে। কিন্তু জার্সি, ফ্ল্যাগ, টুপির জোগান দিয়ে যাঁরা ফ্যানেদের মুখে হাসি ফোটান, করোনা আবহে তাঁদের ব্যবসা শিকেয়। খাঁ খাঁ করেছে ধর্মতলার বিধান মার্কেট।
প্রত্যেকবার ছবিটা অনেকটা এরকম হয়…’ও দাদা, কেকেআরের জার্সি কত? …ধুর কেকেআর।… ধোনি। ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংসের ফ্ল্যাগ আছে না কি?’ এবার সব গলাবাজি উধাও। খাঁ- খাঁ করছে ধর্মতলার ময়দান মার্কেট। যার পোষাকি নাম বিধানমার্কেট। ধোনির চেন্নাই। কার্তিকের কলকাতার জার্সি কেনার হুড়োহুড়ি নেই। বিরাট লেখা জার্সির অর্ডার নেই। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে আইপিএল হচ্ছে বিদেশে। এবছর টিভিতেই উত্তাপ। জার্সির চাহিদা শূন্য। প্রিয় দলের ফ্ল্যগ কেনার ভিড় নেই সমর্থকদের।
শহরের খেলাধুলোর সরঞ্জামের পীঠস্থান ময়দান মার্কেট। আইপিএল মানেই, ময়দান মার্কেটের ব্যবসা দ্বিগুণ। পঞ্চাশ, ষাট টাকা থেকে হাজার, হাজার টাকা দামের খেলার জার্সি থেকে শুরু করে যাবতীয় সরঞ্জাম মেলে এখানে। উঠতি, অনামী থেকে আজকের অনেক তারকাই এই মার্কেটের বাঁধা কাস্টমার। করোনা পরিস্থিতিতে এবার বাজার মন্দা। মাসের পর মাস কলকাতায় খেলাধুলা বন্ধ। ব্যবসা নেই মার্কেটে। গত বছরও দিনে কয়েক হাজার জার্সি বিক্রি হত। এবছর বহু দোকানে বউনি-ই হচ্ছে না।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই প্রত্যেকবার নতুন স্পনসরদের নাম সহ নতুন ডিজাইনের জার্সি চলে আসে মার্কেটে। এবার আর নতুন ডিজাইনের জার্সি তুলতে সাহস পাননি দোকানদাররা। শুধু জার্সি কেন, যাঁরা ফ্ল্যাগ তৈরি করেন তাঁদেরও মাথায় হাত। প্রিয় দলের জার্সিতে সমর্থকদের নাম লিখে দেন যাঁরা তাঁদের অবস্থা আরও শোচনীয়। করোনা আবহ কাটিয়ে কবে ভারতে খেলাধুলো শুরু হবে কেউ বলতেই পারছেন না। এই বছর তাই ক্রীড়া সরঞ্জামের ব্যবসায় যে মন্দা যাবে তা ধরেই নিয়েছেন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি মানুষ।
তবুও অপেক্ষা। মন্দা কাটিয়ে ফের বাজার চাঙা হওয়ার অপেক্ষায় ময়দান মার্কেট। অপেক্ষা আইপিএল-এর নেক্সট সিজনের। মনে মনে প্রার্থনা যাতে ৬ মাস পর আইপিএল যেন ভারতের মাটিতে হয়। তাহলে হয়তো কিছুটা হাল ফিরবে ব্যবসায়।