মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে অব্দি বেতন বৃদ্ধি ও তোলাবাজি বন্ধ ইত্যাদি অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রমিক ধর্মঘট চলল বাংলাদেশে। বাংলাদেশ নৌ যান শ্রমিক ফেডারেশন এর সদস্যরা বুধবার পালন করলো নৌ ধর্মঘট। ফলে ধর্মঘট চলাকালীন থমকে গেল সারা বাংলাদেশের জলপথ ব্যবস্থা।
এই বছরই প্রথমের দিকে বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশের শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এপ্রিল মাসের সেই ধর্মঘট চলার ৪৫ দিনের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিল মালিকদের সংগঠন। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তার পরেও কেটে গেছে প্রায় ৯০ দিন। এর পরেও কোন দাবি দাওয়া পুরন না হওয়া যায় এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ নৌ যান শ্রমিক ফেডারেশন।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি দাবি তারা অনেক দিন ধরেই ১১ দফা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছেন। কিন্তু প্রতিবারই প্রতিশ্রুতি দিয়েও পাশে থাকছেন না মালিকপক্ষ।
বাংলাদেশের এই নৌ ধর্মঘটের জন্য বিপাকে পড়েছিলেন বাংলাদেশি নিত্য যাত্রী। ধর্মঘটের জেরে পুরো দেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মোট 43 টি নৌপথে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর ফলে প্রবল দুর্ভোগের শিকার হতে হয় যাত্রীদের। তবে বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আবার স্বাভাবিক হয়ে চলাচল। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতির বক্তব্য যাত্রীদের অসুবিধার কথা ভেবেই তুলে নেওয়া হয় এই ধর্মঘট। তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে আন্দোলন আগের মতই চলতে থাকবে।