মাটিতে জৈব পদার্থ মিশিয়ে তৈরী করা হয় এই জৈবসার ।এখন মানুষের মৃতদেহ ব্যবহার করেও বানানো যাবে এই সার এমনটাই আইন চালু করা হল আমেরিকায়।এক সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুযায়ী, মানুষ তার মৃত্যুর পর নিজের শরীরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরির নির্দেশ দিয়ে যেতে পারবেন।রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন রাজ্য মানব শরীর দিয়ে এই কম্পোস্ট বা জৈব সার তৈরির অনুমতি চেয়ে একটি আইনের অনুমোদন করেছে। ওয়াশিংটনের গভর্নর জে ইনস্লে স্বাক্ষর করার পর বিলটি আইনে পরিণত হয়।
পৃথিবীর দূষণ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।এছাড়াও বিদেশের আরো বিভিন্ন দেশেও মৃতদেহ থেকে জৈব সার বানানোর আইন চালু আছে।মৃতদেহ সমাধি দেওয়ার এই প্রাকৃতিক সমাধির প্রক্রিয়াটি ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে এবং সুইডেন এ আইনসিদ্ধ হয়ে গেছে।এই প্রাকৃতিক সমাধি দেওয়ার প্রক্রিয়াটি পরিবেশের অনেক উপকার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিভাবে বানানো হবে মৃতদেহ থেকে জৈবসার ?
মৃত্যুর পর মৃতদেহকে একটি ছয়কোন বিশিষ্ট ইস্পাতের বাক্সে কিছু কাঠের টুকরো এবং মাটির সাথে রেখে দেওইয়া হবে।এভাবে মৃতদেহটি ওই বাক্সে থাকবে এক মাস।এক মাসের মধ্যে মৃতদেহটি পচতে শুরু করবে।এক মাস পর সেটি পুরোপুরি পচে মাটিতে পরিণত হয়ে যাবে এবং তৈরী হয়ে যাবে জৈবসার।এই সার ফলমূল, শাক-সব্জি ফলাতে পরিবেশের উন্নতিতে সাহায্য করবে।এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে সমাধি দিয়ে মৃতিদেহকে সারে পরিণত করার প্রক্রিয়া দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে।
যেসব শহরে কবরস্থানের বা নতুন করে কবর দেয়ার সংকট তৈরি হয়েছে,সেইসব জায়াগায় এই পদ্ধতি বিকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে।এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে অনায়াসেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।এই প্রক্রিয়ায় মাটির সাথে মৃতদেহ মিশে সারে পরিণত হয়ে গেলে সেই সার মৃত ব্যক্তির পরিজনদের দিয়ে দেওয়া হবে।সেই সার ব্যবহার করে তারা বাড়িতে ফুল ফলের গাছ এবং নানা রকমের গাছে লাগাতে পারবেন।সেই গাছগুলি ওই মৃত ব্যক্তির স্মৃতি হিসেবেও তাদের কাছে থাকবে।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে অনুযায়ী ক্যাটরিনা স্পাড যিনি কিনা বিলের পক্ষে আন্দোলন করেছেন তিনি এএফপিকে বলেছেন, ‘সাধারণ কবর দেয়ার বদলে এরকম মাটির সাথে মিশে যাওয়ার বিকল্প পদ্ধতি হবে প্রাকৃতিক, নিরাপদ, স্থায়ী এবং পৃথিবীর ভূমির ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে ভূমিকা রাখবে।’
মৃতদেহকে মৃত্যুর পর কবর দেওয়া হলে বা পোড়ানো হলে এক বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশের সাথে মেশে এবং পরিবেশকে দূষিত করে তোলে।এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করলে সেই গ্যাস পরিবেশে মেশা থেকে আটকানো যাবে।জানা গেছে, প্রয়াত অভিনেতা লুক পেরিকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ‘মাশরুম স্যুইটে’ সমাধিস্ত করা হয়েছে।এই স্যুটের নির্মাতা যিনি তিনিও বলেছেন এই প্রক্রিয়া পরিবেশ রক্ষার্থে এক বড় ভুমিকা নেবে।
আরও পড়ুনঃজানেন কি কোলকাতার বুকেই ছড়িয়ে আছে ভূতেদের বাসস্থান ?- জেনে নিন কোলকাতার ভূতুরে স্থানগুলোর অস্তিত্ব!