গতকাল ছিল ডক্টরস ডে। আর সেই দিন এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ প্রস্তাবের কথা ঘোষণা করলেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে। এই দিনেই এস এস কে এম হসপিটাল এ ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এস এস কে মেরে ট্রমা সেন্টারে পাওয়া যাবে 25 টি বেড সম্পন্ন সুপার স্পেশালিটি ট্রিটমেন্ট।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত রোগীরা যাতে ন্যায্য মূল্যে ওষুধ পেতে পারেন তার ব্যবস্থাও করলেন তিনি। সঠিক দামে খোঁজ পাওয়ার জন্য 166 টির ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান তৈরি করার কথা তিনি বললেন। এছাড়াও বিভিন্ন সুপার স্পেশালিটি হস্পিতাল গুলোকে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি উন্নতিকরণের কথা ঘোষণা করলেন মমতা ব্যানার্জি।
ডক্টরস ডে উপলক্ষে এরকমই কিছু জনসাধারণের হিতার্থে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিলেন তিনি। এবং তিনি আশ্বাস দিলেন এই প্রস্তাব গুলি শীঘ্রই কার্যকরী করার ব্যবস্থাও করবেন তিনি। সব হাসপাতালে পেইন কেবিন চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা ব্যানার্জি। এছাড়াও পথ দুর্ঘটনা সামাল দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিলেন তিনি। এই দিনই তিনি ঘোষণা করলেন রাজ্য যেখানে যেখানে দুর্ঘটনা প্রবণ জায়গা আছে সেই জায়গা গুলি আগে থেকে চিহ্নিত করে নিয়ে সেখানে “পথবন্ধু” হিসেবে কয়েকজন স্থানীয় লোক নিয়োগ করা হবে। সেই সব জায়গায় হঠাৎ করে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেই পথ বন্ধুরা এগিয়ে গিয়ে তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহায্য করতে পারবেন।
Inauguration of the first Level 1 Trauma Care Centre of West Bengal & Awarding Bishista Chikitsha Samman to Eminent Doctors | পশ্চিমবঙ্গের প্রথম লেভেল ১ ট্রমা কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন এবং সম্মানীয় চিকিৎসকদের বিশিষ্ট চিকিৎসা সম্মান প্রদান >> https://t.co/GfDM1CH00N
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 1, 2019
এই দিন তিনি এন আর এস কান্ডের প্রসঙ্গ টেনে এনে ও বক্তব্য রাখেন তিনি। তিনি বলেন হাসপাতালে জায়গাটা একটি ভালোবাসার জায়গা এবং সেবা করার জায়গা। এখানে কোনো বিপদ ঘটে গেলে অনেক লোক জমায়েত হয়, মাঝে মাঝে ভীষণ বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় ডাক্তারদের। তাই এমন একটি জায়গায় হঠাৎ করে কিছু অপ্রিয় কর ঘটনা ঘটে গেলে তার সবার মনে দাগ রেখে যায়। তাই তিনি এই দিন আর্জি জানিয়েছেন এই রকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে সবাইকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। এই দিন হসপিটাল এর মান উন্নত করার জন্য এই প্রস্তাব গুলি ঘোষণা করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এও স্বীকার করেন যে রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসক নেই। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন হাসপাতালগুলো আধুনিক হয়ে গেলেও প্রায় 4 হাজার ডাক্তারের ঘাটতি আছে এখনো।
এই দিন চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব গুলি ঘোষণা করার পাশাপাশি জল সংকট নিয়ে ও মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দিন জল বাঁচানোর জন্য “জল বাঁচান জীবন বাঁচান” কর্মসূচি গ্রহণ করেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এবছর প্রচন্ড জল সংকটের মুখোমুখি হয়েছে চেন্নাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন শহর। কেন্দ্রীয় সরকার ও এই ব্যাপারে সরব হয়েছেন। জল সংকটের সমাধানের জন্য “স্বচ্ছ ভারত অভিযানের” মত জল সংরক্ষণ নিয়ে রবিবার “মন কি বাতে” সামাজিক আন্দোলন গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন “সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ” কর্মসূচি। আগামী 12 ই জুলাই দুপুর তিনটের সময় জোড়া সাঁকো থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এই পদযাত্রা স্লোগান হবে “সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ”। এছাড়াও জল অপচয় বন্ধ করারও আবেদন জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বাসীর কাছে।