বিজেপি নেতা মুকুল রায় বিদ্যুৎ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।মুখ্যমন্ত্রী তার এক সভায় দাবি করেছিলেন যে রাজ্যে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি বাড়তি বিদ্যুৎ রয়েছে।সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন তুলেছেন মুকুল রায়।মুকুল রায় দাবি জানিয়েছেন যদি রাজ্যে বেশি বিদ্যুৎ থেকেই থাকে তবে রাজ্যবাসীকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে কেন? তিনি আরও দাবি করেছেন যে রাজ্যে বিজেপি সরকার এলে অবশ্যই বিদ্যুতের দাম কমবে।

মুকুল রায় জানিয়েছেন যে এই রাজ্যে বিদ্যুতের দাম সবথেকে বেশি।অন্ধ্রপ্রদেশে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২ টাকা ৩ পয়সা৷ অরুণাচল প্রদেশের তা ৪ টাকা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ২ টাকা ৫ পয়সা, অসমে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা, উত্তরপ্রদেশে ৪ টাকা ৯০ পয়সা, উত্তরাখন্ডে ২ টাকা ৬৫ পয়সা, গুজরাটে ৩ টাকা ৫৫ পয়সা৷দেশের সব রাজ্যে যেখানে বিদ্যুতের মুল্য ২ টাকা থেকে ৪ টাকার মধ্যে সেখানে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বণ্টন নিগমে ইউনিট প্রতি দাম নেওয়া হচ্ছে ৬ টাকা ২৩ পয়সা৷ আবার আরেকদিকে, সিইএসসি বিদ্যুতের দাম নেওয়া হচ্ছে ইউনিটপ্রতি ৫ টাকা ৯৭ পয়সা৷ এই হিসেব প্রদর্শন করে মুকুল রায় জানতে চেয়েছেন যে তবে এই রাজ্যে বিদ্যুতের মূল্য এত বেশি কেন?
যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা দাবি করেন যে তিনি সাধারন মানুষের কথা ভেবে কাজ করে যান সেই রাজ্যের মানুষকে বিদ্যুতের জন্য তবে অতিরিক্ত ব্যয় কেন করতে হচ্ছে?এই রাজ্যে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩২ লক্ষ্য।মুকুল রায় তার বক্তব্যে অনুরোধ জানিয়েছেন এই ৩২ লক্ষ্য বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী যেন ভোট দেওয়ার সময় এই বিদ্যুতের ব্যপারটা মাথায় রাখেন।
মুকুল জানিয়েছেন, রেগুলেটরি অথোরিটি ২০১০ সালে একটা বিদ্যুতের দামের নথি তৈরি করে পাঠিয়েছিল৷ কিন্তু বাম রাজ্য সরকার সেটি গ্রহণ করেননি৷ ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুতের দাম বাড়ল ৩১ শতাংশ এবং ক্রমান্যয়ে ২০১২-১৩ বাড়ল ৪ শতাংশ. ২০১৪-১৫ তে বাড়ল ১৭.৩৩ শতাংশ৷এর মধ্যে ১৩ হাজার কোটি টাকা বিদ্যুত ব্যবহারকারিদের খরচ হয়ে গেছে৷
তিনি আরও দাবি করেছেন এই টাকা সিইএসসি-র সাথে মিলে লুঠ করেছে রাজ্যসরকার।তিনি এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।