দিল্লি গামী ডাউন ব্রহ্মপুত্র মেল এর এসি ফার্স্ট ক্লাস কামরা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল এক গৃহবধূ। তার স্বামী সন্দেহ করছেন স্ত্রী এর গায়ের সোনার অলংকার এর জন্য অপহরণ করেছে তাকে দুষ্কৃতীরা।
মঙ্গলবার দিন ভোরে বারা হাড়োয়া স্টেশন পার হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয় ওই মহিলা। ভোরবেলা শৌচাগারে যাওয়ার পর আর ফেরত না আসায় তার স্বামী ট্রেনের মধ্যে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তার। স্ত্রীকে ট্রেনের মধ্যে না পেয়ে জামালপুর স্টেশনে নেমে যান তিনি। তিনি অভিযোগ জানান স্ত্রীয়ের গায়ে প্রচুর সোনার গয়না ছিল। আর সেই সোনার গয়না ছিনতাই করার জন্য তার স্ত্রী নীলিমা রায় বর্মন কে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। মালদা টাউন স্টেশনে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন এই ঘটনার।
স্ত্রীকে ট্রেনে খুঁজে না পাওয়ার পর রাজু রায় বর্মণ নেমে পড়েন জামালপুর স্টেশনে। সেখানে রেল পুলিশকে তিনি ঘটনাটা জানানো সত্ত্বেও সেইখানে রেল পুলিশের তরফ থেকে কোনরকম সাহায্য পাননি তিনি। এরপরে তিনি ফিরে আসেন মালদা টাউন স্টেশনে। সেইখানেই রাতে জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজু রায় বর্মণ।
নীলিমা দেবীর স্বামী রাজু রায় বর্মণ জানিয়েছেন তারা হরিয়ানার বাহাদুরগড়ে থাকেন। কোচবিহারের দিনহাটার ঝুড়ি পাড়া গ্রামে তারা এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ব্রহ্মপুত্র মেল করে ফিরছিলেন তারা। ধুপগুড়ি স্টেশন থেকে রাজু রায় বর্মণ তার স্ত্রী নীলিমা রায় বর্মণ শ্যালক বিশ্বজিৎ রায় ও তাদের ৫ বছরের ছেলে মায়ানক রায় বর্মন কে নিয়ে এই দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেল এ ওঠেন। আর তার পরেই ঘটে যায় এই অঘটন।
মঙ্গলবার ভোররাতে ট্রেনটি যখন বারোহাড়োয়া স্টেশন পেরোচ্ছে তখন শৌচাগারে যান নীলিমা দেবী। আর তারপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তিনি। বিষয় টিটি ও কোচ একাউন্টেন্ট কে জানালেও তারাও কোনো খোঁজ দিতে পারেননি। বর্তমানে এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।