আজ ২০১৯ সালের সাধারণ বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর সংসদের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। প্রায় ৪৯ বছর পর আবার কোন মহিলা অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করল ভারতের। সীতারমনের আগে ১৯৭০ সালের বাজেট পেশ করেছিলেন প্রধান মন্ত্রী তথা তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
এই বাজেটে অনেক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন বাজেট অনুযায়ী সোনার আমদানি শুল্ক ২ শতাংশ বাড়ছে। এছাড়াও পেট্রোল ও ডিজেলের বাড়ছে সেস।
নতুন বাজেট অনুযায়ী এবারে ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে থাকবে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়। এছাড়াও গৃহ ঋণের সুদের হার দু লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হলো ৩.৫ লক্ষ টাকা। এই বাজেট এর ফলে মধ্যবিত্ত পরিবার উপকৃত হবে কিন্তু করের বোঝা বাড়বে ধনীদের। নতুন বাজেট অনুসারে ২ থেকে ৫ কোটি টাকা বার্ষিক আয় সারচার্জ বাড়ানো হলো। আগে ছিল সারচার্জ ৩ শতাংশ সেখান থেকে বাড়ি করা হল ৭ শতাংশ। এছাড়াও নির্মলা সীতারমণ জানালেন যদি কারোর প্যান কার্ড নাও থাকে আধার কার্ড দিয়েই করা যাবে আয়কর রিটার্ন।

তবে এই বাজেটে নতুন চমকও দিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। প্রথা ভেঙে ব্রিফকেসে নয় লাল শালুতে মুড়ে বাজেট হাতে নিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এটি ভারতের ঐতিহ্য। পশ্চিমী দাসত্ব ঝেড়ে ফেলার প্রতিক এটি। এটি বাজেট নয়, বহি খাতা।”
এছাড়াও জানা যাচ্ছে বাজারে কিছু নতুন কয়েনও আসতে চলেছে। বাজারে চালু হতে চলেছে নতুন কুড়ি টাকার কয়েন। তাছাড়াও পুরনো এক টাকা দুই টাকা পাঁচ টাকা এবং ১০ টাকার পুরনো কয়েন বদলে আসতে চলেছে নতুন কিছু কয়েন। এছাড়াও অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন অনাবাসী ভারতীয়দের জন্য দেওয়া হবে আধার কার্ড। বাজেট পেশ কালীন সময় সীতারমণ বলেন, “গত পাঁচ বছরে কর ক্ষেত্রে অনেক সংস্কার করা হয়েছে। ৫৫ বছর লেগেছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পৌঁছতে। আমাদের লক্ষ্য ১০ বছরের ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পৌঁছানো।” এছাড়াও তিনি জানান ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন এর প্রতি আরো জোর দেওয়া হবে। তাছাড়াও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পেনশন এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। অর্থমন্ত্রী জানান এই পেনশনের ব্যবস্থা শুরু করলে তিন কোটি ক্ষুদ্রব্যবসায়ী এর ফলে উপকৃত হবেন। এছাড়াও গান্ধীবাদের প্রচারের জন্য ‘গান্ধীপিডিয়া’ ও করা হবে।