কালকের খেলায় অস্ট্রেলিয়াকে মুখোমুখি টক্কর দিলো বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের লড়াকু মানসিকতা | হারটা ছিল শুধুমাত্র সংখ্যার,তবুও কাল সকল বাংলাদেশী দর্শকএর মনজয় করে নিলো বাংলাদেশী তরুণ ক্রিকেটদল ,একেই হয়তো বলে বাজিগরের মতো হেরেও জিতে যাওয়া| বিশাল লক্ষ্য সামনে থাকলেও কখনও নার্ভাস হয়নি বাংলাদেশ।।পরাজয়ের কষ্ট থাকলেও রানের দৌড়ে খুব বেশি না পিছিয়ে থাকায় দেশজোড়া ভক্তরা একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছে।
মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের লড়াকু মানসিকতার তাই প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার।অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রানের বিরুদ্ধে দারুণ ব্যাট করেছে বাংলাদেশ।সেমিফাইনালে ওঠার আশা মনে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৮১ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। দলটির ইনিংসের শেষ ৭-৮ ওভারে অনেক বেশি রান দিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের বোলাররা।
অদম্য ইচ্ছায় গোটা ৫০ ওভারই খেলেছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। ব্যাটিংয়ের একটা সময় ম্যাচে মোটামুটি ভালোভাবেই টিকে ছিল মাশরাফির দল। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টাটা শুরু হয়েছে একটু দেরিতে|
সৌম্য সরকারের অপ্রত্যাশিত আউট ,মধ্যভাগে মন্থর গতির ব্যাটিং,উইকেট দ্রুত হারানো কিছুটা বিপদের মুখে ফেলে তাদের,অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার চার শ ছুঁইছুঁই রান ,বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৪৭ বলে ১৬৬ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ওয়ার্নার |অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ফিঞ্চের সঙ্গে ওয়ার্নারের ১২১ রানের জুটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় রানের ভিত গড়ে দেয়।ফিঞ্চ ৫৩ রানে ফিরে গেলেও নিজের ১৬তম শতরান করেন ওয়ার্নার।
এই রান তাঁকে পৌঁছে দেয় চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তার নাম জুড়ে যায় প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে যার একাধিক ১৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস রয়েছে।প্রত্যাশিত রান রেট তুলনায় কিছুটা কম থাকায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায় শেষ পর্যন্ত|
ম্যাচে হারার পর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের অনেকেরই মত, ফিল্ডিংটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। যে কারণে ৩৮১ রানের পাহাড় টপকে জয় ছিনিয়ে আনাটা অসম্ভব হয়ে পড়ল। তবে ৩৮১-এর পাহাড় দেখে থমকে যায়নি মাশরাফি বাহিনী। তারা লড়াই করেছে, জানান দিয়েছে নিজেদের অবস্থান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকনের বললেন, “ওয়েল ডান টাইগার্স, ফিল্ডিংটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
তবুও অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের এ লড়াইয়ে মুগ্ধ ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’খ্যাত শোয়েব। তাই তার টুইটে বয়ে গেল প্রসংশার বন্যা ,তিনি বললেন,বাংলাদেশ আবারও অবিশ্বাস্য লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দেখাল। তারা শেষ কয়েক ওভারে অতিরিক্ত রান দিয়ে ফেলেছে, নইলে ম্যাচটা তাদের হাতেই থাকত।
বড় রান তারা কীভাবে তাড়া করে, সে ব্যাপারে সত্যিই ভালো শিক্ষা পাওয়া গেল | বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে আরও ৩ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পরবর্তী লড়াইয়ের জন্য তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ জোরকদমে, ইতিমধ্যে সোয়েবের এই টুইট কি তবে অন্যান্য জাতীয় দলের কাছে বাংলাদেশের সেই বুক বাঁধা প্রস্তুতির সতর্কবার্তা দিয়ে গেল??