পাকিস্থানে বন্ধ হওয়া ৪০০ টি পুরনো হিন্দু মন্দির সংস্কার এবং নতুন করে খোলার কথা জানিয়েছিলেন ইমরান খান। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাকিস্তান এবার খুলতে চলেছে আবার হাজার বছরের প্রাচীন শের ওয়ালা তেজা সিং মন্দির। সূত্র অনুযায়ী পাকিস্থানে ৭২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম হিন্দুদের মন্দির নতুন করে খোলা হচ্ছে। নতুন করে এই হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠা পাকিস্তান সরকারের ভাবমূর্তিতে বেশ কিছুটা প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত।
ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই তিনি দেশের সংখ্যালঘুদের ধর্ম আচরণের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই সময়েই তিনি বলেন পাকিস্তানের ৪০০ টি বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো হিন্দু মন্দির তিনি পুনরায় সংস্কার করে খুলবেন। সেই মতই তিনি করলেন তার কাজ। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শিয়ালকোট জেলার ডেপুটি কমিশনার বিলাল হায়দার এ বিষয়ে বলেছেন, “এবার থেকে এই হিন্দু মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য সর্বক্ষণ খোলা থাকবে।”

উল্লেখ্য সর্দার তেজা সিং এর প্রতিষ্ঠা করা এই মন্দির প্রায় হাজার বছরের পুরনো। ১৯৯২ সালে বন্ধ হয়ে গেছিল এই প্রাচীন মন্দিরটি। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর উন্মুক্ত জনতার আক্রোশে এই মন্দিরটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল এবং তারপর থেকেই দর্শনার্থীদের আগমন বন্ধ হয়ে যায় এই মন্দিরে। এই মন্দিরটির পাশাপাশি প্রথম দফায় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের গোরক্ষনাথ মন্দির থেকে নতুন করে খোলা হতে চলেছে। গোরক্ষনাথ মন্দির থেকে একটি হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন ইমরান সরকার। পাক হিন্দু সংগঠন গুলির সরকারের এই পদক্ষেপকে প্রশংসনীয় চোখেই দেখছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাকিস্তানের ৭২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম আবার হিন্দুদের মন্দির খোলা হচ্ছে। এই মুসলিম রাষ্ট্রে বিগত সাত দশকে বহু মন্দির বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কোন মন্দির গণরোষের শিকার হয়ে বন্ধ হয়েছে বা কোন টা জবর-দখলের কারণে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে আবার কোনোটা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সৌজন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হিন্দু মন্দির জবরদস্তি বন্ধ করে সেখানে মাদ্রাসা অনাথালয় এমনকি কসাইখানা স্থাপন এর নজিরও রয়েছে এই ইসলামিক রাষ্ট্রে। এমনই এক সময়ে ইমরান খানের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের সরকারের ভাবমূর্তি তে একটি প্রভাব ফেলবে তা তো নিশ্চিতভাবেই বলা যাচ্ছে।