বিভক্ত হল ভূস্বর্গ।৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীর রাত হলো এখন পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ক্যাটরিনা হলো জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। সোমবার কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই প্রস্তাবে তুমুল প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যসভায় বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছুদিন আগে থেকে জম্মু কাশ্মীরে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছিল মোদি সরকার। যদিও এমন একটি সিদ্ধান্ত তারা নেবেন সেই বিষয়ে বিশেষ কিছু টের পাওয়া যায়নি। তবে তাদের কিছু পদক্ষেপ কে ঘিরে জল্পনা চলছিল।
গত সপ্তাহে অমরনাথ যাত্রা বাতিল করে দেওয়া এবং তার পরে অতিরিক্ত বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েন করা এই সবকিছু দেখে খুব বড় সর কিছু ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। যদিও সন্ত্রাস হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে বাতিল করা হয়েছিল অমরনাথ ও মাছিল মাতা যাত্রা এমনটাই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আসল কারণ সামনে এল সোমবার রাজ্যসভায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই দিন কেন্দ্রীয় সরকারে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন।জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হলো। এই প্রস্তাবে তিনি জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে আইনসভা থাকবে কিন্তু লাদাখে কোন আইনসভা থাকবে না
এই প্রস্তাবের কারণে বহু আগে থেকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পর্যটকদের অবিলম্বে ইন কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাতিল করা হয়েছিল অমরনাথ যাত্রা। অতিরিক্ত সামরিক বাহিনী ও মোতায়ন করা হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র এবং শিক্ষকদের বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছিল। তখনই সন্দেহ জাগে মানুষের মনে। তারা আঁচ করতে পারেন কিছু একটা ঘটতে চলেছে। এরপরই রবিবার মধ্যরাত থেকে শ্রীনগর এ জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। এছাড়া জম্মু-কাশ্মীরের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহেবুবা মুফতি কে গৃহবন্দি করা হয়। আর তারপরই সোমবার রাজ্যসভায় ঘোষণা করা হয় এই প্রস্তাব।
তবে সংবিধানের ৩৭০ ধারার ওদের মত এত বড় সিদ্ধান্ত কে বাস্তবায়িত করার কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে বিজেপি সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে। রাজনীতিবিদদের মতে এই প্রস্তাবকে সুকৌশলে বাস্তবায়িত করেছেন একমাত্র অমিত শাহ। বিজেপি নেতাদের মোটেও এটি অমিত শাহের মিশন ছিল। যাতে উনি সফল হয়েছেন।