নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান । আগামী ৩০শে মে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও বাদ পড়ে গেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে বিআইএমএসটিইসি গোষ্ঠীভুক্ত ছ’টি দেশ বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের রাষ্ট্র নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। এছাড়াও ক্রেজ রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট এবং মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী কেও জানানো হয়েছে আমন্ত্রণ। এই সব নেতাদের বাইরেও বিশ্বের শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্টদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে জল্পনা চলছে। সেইসব শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্টের তালিকায় থাকতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প , রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন , চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রমূখ।
নরেন্দ্র মোদী ভোটে জয়যুক্ত হওয়ার পর এনারা সবাই ফোন করে বা টুইটারে মোদীকে শুভেচ্ছা বার্তা জানান।মোদী ভোটে জেতার পর ইমরান খানও টুইটারে মোদিকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছিলেন। পরে রবিবারে প্রধানমন্ত্রী কে ফোন করে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন।মোদী সেখানেও স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন এই বিষয়ে পরবর্তীকালে আলোচনা করা হবে। তবে আলোচনা করার জন্য দরকার সুস্থ পরিবেশের যা তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে এই দুই দেশকেই। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েছিলেন তখন তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গোষ্ঠী ভুক্ত দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ কে জানানো হয়েছিল আমন্ত্রণ। তবে এবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বাদ পড়ে গেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ।
পরবর্তীতে পড়ুনঃগুরুতর ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল বাংলার জনপ্রিয় গায়ক সৌম্য চক্রবর্তীকে
২০১৪ সালের পর এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অনেক চড়াই-উৎরাই গেছে । ২০১৬ সালে ভারিতের উপর হয়েছিল পর পর জঙ্গি হামলা। যার জন্য দায়ী ছিল পাকিস্তান। এই জঙ্গী হামলার কারণে পাকিস্তান এবং ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে যায়।এরপরও বারংবার পাকিস্তান ভারতের ওপর করেছে জঙ্গি হামলা। যার উদাহরণ ভারিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পুলওয়ামা আক্রমণ। তারই জন্য হয়তো মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেলেন ইমরান খান। এই ঘটনায় স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে, পাকিস্তান যদি ভারতের সাথে আবার হাত মেলাতে চায় তবে পাকিস্তানকে পুনরায় বিশ্বাস অর্জন করতে হবে ভারতের এবং একটি সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশ তাদের গড়ে তুলতে হবে। এমনটা যদি পাকিস্তান আবার করতে পারে এবং আবার যদি পাকিস্তান ভারতের বিশ্বাস অর্জন করতে পারে তবেই পাকিস্তান এবং ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনরায় গড়ে ওঠা সম্ভব।