পাঁচ মাস ধরে সৌদি আরবে পড়ে আছে গৃহকর্মী হিসেবে যাওয়া মানিকগঞ্জে রহিমা আক্তার এর মরদেহ । মরদেহ আনার জন্য গেল নভেম্বরে মন্ত্রণালয়ের আবেদন করা হলেও পাঁচ মাসে কোন তথ্য নেই পরিবারের কাছে । ক্লাসের অপেক্ষার সাথে পরিবারের অভিযোগ রহিমাকে সৌদিতে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এদিকে এতদিনেও মরদেহ না আসার বিষয়টি জানার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহ্মেদ মিরাজ হোসেন গাজী।
ঢাকার খুব কাছেই মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, এই উপজেলার একেবারেই প্রত্যন্ত গ্রাম বিনা ডাংগি। কৃষি প্রধান এলাকাটিতে অভিবাসী কর্মী আছে বেশ। উপজেলা থেকে নারীকর্মী হিসেবে বিদেশ গেছেন অনেকে। এইবিনা ডাংগি গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল খান , স্ত্রী রহিমাকে হারিয়ে স্বামীর বিলাপ ও সাথে লাশের জন্য অপেক্ষা।
রহিমাকে বছর দুয়েক আগে পাঠিয়েছিলেন সৌদি আরবে প্রথমদিকে ভালই ছিলেন ৮ মাস ঠিকমতো বেতনও পাঠিয়েছেন রহিমা।পরের কয়েক মাস বেতন না দেয়ার অভিযোগ করতেন স্বামীর কাছে, বেতন চাইলেই উপর নেমে আসতো নির্যাতন।
রহিমার মৃত দেহ আনার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র ।পরিবারের পাশাপাশি তারাও ছুটছেন সরকারের নানা দপ্তরে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ।
রহিমার মরদেহ দেশে আনার বিষয়টি নজরে আনা হয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের ।সবকিছু শুনে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি ।
সোমবার সকালে মন্ত্রীর পদক্ষেপের পর বিকালেই এরিয়াতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইং থেকে মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন পাঠায়। সেখানে উল্লেখ করা হয় মরদেহ পাঠানোর বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে রহিম এর স্বামী মঙ্গল খানের সাথে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই পাঁচ মাসে একবারও মঙ্গল খানকে ফোন করেননি দূতাবাসের কেউই।
মঙ্গল খান রহিমা দম্পতির কোন সন্তান নেই, অসুস্থ স্বামী তার ঠিকানা আর স্ত্রী ছিলেন মঙ্গল খানের সম্বল এখন সবই এলোমেলো ।সংসারে একটু সবচ্ছলতার আশায় মানিকগঞ্জ এলাকার রহিমা আক্তার পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি আরবে কিন্তু ভাগ্য ফেরানোর দূরের কথা এখন লাশ হয়ে পড়ে আছেন মরু দেশটিতে। তার মৃতদেহটি দেশে ফেরত আনা নিয়েও রয়েছে নানা অনিশ্চয়তা।