মিঠুন চক্রবর্তীর ছোট ছেলে নমশী চক্রবর্তী ।তিনিও এবার পা রাখতে চলেছেন বলিউডের বড় পর্দায়।পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর ছবি ‘ব্যাড বয়’ দিয়েই তিনি পা রাখবেন বলিউডে।নমশী দেখতে হুবহু তার বাবা মিঠুন চক্রবর্তীর মতন। তাকে এক ঝলক দেখলেই মনে পড়ে যায় মিঠুন চক্রবর্তীর তরুণ বয়সের কথা। তবে নমশী কি পারবে তার বাবার মতন দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে?
একটা সময় টলিউড এবং বলিউড কাঁপিয়ে অভিনয় করে গেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।বর্তমানে তিনি অভিনয় জগত থেকে সরে থাকলেও তার ভক্তের সংখ্যা মোটেও কম নয়। সেই সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর ছোট ছেলে এখন নামছেন রুপোলি পর্দায়।নিঃসন্দেহে তাকে নিয়ে উৎসাহ থাকবেই বলিউড থেকে টলিউডের দর্শকদের মধ্যে।

বলিউডে এই বছরে বহু ‘স্টার কিড’ একের পর এক ডেবিউ করেছেন।গত বছরই আমরা দেখতে পেয়েছি শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী, রাজেশ খট্টরের পুত্র ঈশান এবং সইফ কন্যা সারা আলি খান এর মত অনেক তারকা সন্তানদের। তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণও করেছেন পর্দায়। এর পরেও আমরা দেখেছি সানি দেওয়ালের ছেলে করণ ,চাঙ্কি পান্ডের মেয়ে অনন্যা পান্ডে কে বড় পর্দায় অভিনয় করতে।এরপরে এখন বড় পর্দায় আসতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তীর ছোট ছেলে নমশী চক্রবর্তী। তিনি কি পারবেন তার প্রতিভাকে সবার সামনে তুলে ধরে বাবার মতোই একজন সুপারস্টার হয়ে উঠতে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মিঠুন চক্রবর্তীর সমস্ত ছেলে মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হল নমশী চক্রবর্তী।এর আগেও মিঠুন চক্রবর্তীর এক ছেলে এসেছিলেন পর্দায় অভিনয় করতে কিন্তু তিনি ঠিক মতো নিজের জায়গা করে নিতে পারেননি ।আশা করা যাচ্ছে নমশী তার প্রতিভা দিয়ে সবার মন জয় করতে পারবেন।এছাড়াও শোনা যাচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীর মেয়ে দিশানীও নাকি অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিতে চলেছেন।
আরও পড়ুনঃবলিউডের পঞ্চ পান্ডব
যদিও পরিচালক জানিয়েছেন শুধুমাত্র তারকা সন্তান বলেই তিনি নমশীকে কাস্টিং করেছেন এমন নয়। নমশীকেও যেতে হয়েছে বিভিন্ন ধরনের বাছাই পর্বের মধ্য দিয়ে।নমশী নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই ছিনিয়ে নিয়েছেন এই চরিত্রে কাজ করার সুযোগ। এই ছবিতে নমশীর বিপরীতে থাকছেন প্রযোজক সাজিদ কুরেশির মেয়ে আমরিনও। তিনিও এই ছবিতে নমশীর সাথে ডেবিউ করবেন।পরিচালক মিঠুনপুত্র নমশী ও আমরিন দুজনকে নিয়েই আশাবাদী।আশা করা যাচ্ছে এই দুই নবীন তাড়কার কাছ থেকেও আমরা ভবিষ্যতে অনেক ভালো ভালো ছবি উপহার পাবো।
পরিচালক জানিয়েছেন যখন তিনি নমশীকে কাস্টিং করেন তখন চিকিৎসার জন্য মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন বিদেশে। পরে তিনি বিদেশ থেকে ফিরলে তার সাথে এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। তারপরেই চূড়ান্ত করা হয় নমশীর নাম।প্রযোজক সাজিদ কে এই ছবির গল্প জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন এখনই তিনি সবটা বলে দিতে চান না।তবে তিনি কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এই ছবি অনেকটা ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’ কিংবা ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানি’র মতোই হতে চলেছে।এমনিতেও রাজকুমার সন্তোষীর ছবিতে থাকে বেশ কিছু মনে রাখার মতন সংলাপ।তাই এবারও আশা করা যাচ্ছে নমশীর মুখেও আমরা তার বাবার মতোই কিছু কালজয়ী সংলাপ শুনতে পাবো।