শিশুর দাবি নিয়ে ধুন্ধুমার লেগে গেল শহরের এক হাসপাতালে। শিশু একজন কিন্তু তার বাবা হিসেবে দাবি দাঁড় তিনজন। এমন বিচিত্র ঘটনায় বিপাকে পড়েছে ওই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ও এখনো হদিস করতে পারেনি ওই শিশু কন্যার আসল বাবা কে?
ঘটনাটি ঘটেছে বাঘাযতীনের গাঙ্গুলি বাগান এর বেসরকারি এক হাসপাতালে। শনিবার উত্তরপাড়া স্বপ্ন মৈত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করান রবীন্দ্রপল্লী বাসিন্দা দীপঙ্কর পাল। ভর্তির সময় সপ্নার স্বামী হিসেবে পরিচয় দেন দীপঙ্কর পাল। পরের দিন অর্থাৎ রবিবার সপ্নার এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। ঠিক তার পরেই শুরু হয় গোলমাল।
এরপরই হাসপাতলে এসে হাজির হন নিউটনের বাসিন্দা হর্ষ ক্ষেত্রী। তিনি এসে দাবি করেন স্বপ্না তার স্ত্রী এবং যে কন্যা সন্তানটি হয়েছে সেটি তারই মেয়ে। তিনি বলেন হোয়াটসঅ্যাপের স্বপ্না স্ট্যাটাস আপডেট দেখে তিনি হাসপাতালে এসে হাজির হন। এই খবর পেয়েই মাথায় হাত পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এরপর নেতাজি নগর থানায় খবর দেন এবং পুরো ব্যাপারটি বলেন। নিউ টাউন এর বাসিন্দা হর্ষ পুলিশকে তখন তার ম্যারেজ সার্টিফিকেট সহ কয়েকটি নথি দেখান। রবিবারে এই দুইজন দাবিদার এর একজন কেউ ভেতরে ঢুকতে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তাকর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছে হাসপাতালে। তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়।
সমস্ত প্রমান এবং নথিপত্র পেয়ে যখন পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত ঠিক করে ফেলেছেন। তখনি এসে হাজির হয় ওই কন্যা সন্তানের আরেক দাবিদার। প্রদীপ রায় নামক আরেক ব্যক্তি এসে দাবি করেন সদ্যোজাত শিশু কন্যাটি তার। সময় যত বাড়ে জটিলতা ততই বাড়তে শুরু করে। যদি এই পুরো ব্যাপার নিয়ে স্বপ্না নিজে কিছু জানাননি। সপ্নার কেবিনের বাইরে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। তবে সমস্যার এখনো কোনো সমাধান বের করা যায়নি। কন্যা সন্তানটি আসলে কার সেই নিয়ে এখনো দ্বন্দ্বের পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃকাশ্মীরের বর্ডারে গুলি চালালো পাকিস্তান, লঙ্ঘন করল সংঘর্ষবিরোধী চুক্তি