অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা পড়াশোনা করার সময় মনোযোগ বজায় রাখতে পারে না।ফলে পড়া তৈরী করতে দেরী হয় আবার কোনো সময় পড়া তৈরীও হয় না।ফলে সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে পিছিয়ে থাকতে হয় অন্যদের থেকে।
পড়াশোনায় মন না বসার এই সমস্যা প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই বর্তমান।এই সমস্যা সমাধানের উপায়ও আছে।কিছু কিছু নিয়ম আছে যেইগুলো মেনে চললে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।এখন দেখে নেওয়া যাক উপায়গুলো।
১) পড়াশোনা করার জন্য সঠিক জায়গা বেছে নিতে হবেঃ
পড়তে বসার আগে পড়াশোনা করার জন্য একটি ভালো জায়গা সর্বপ্রথমে বেছে নিতে হবে। যেই জায়গায় পড়াশোনা করা হবে সেই জায়গাটা যেন পরিষ্কার এবং গোছানো থাকে তবেই সেটি শিক্ষার্থীর মনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারবে। এবং শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে। যেই জায়গায় পড়াশোনা করা হবে সে জায়গায় যেন বেশি আওয়াজ বা গোলমাল না হয় একটি শান্ত জায়গাকে বেছে নিতে হবে পড়াশোনা করার স্থান হিসেবে। তাই পড়াশোনায় মনোযোগ বসার পেছনে পড়াশোনা স্থান এর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
২) যেই বিষয়ে পড়া হচ্ছে তার একটি সারাংশ বানিয়ে ফেলতে হবেঃ
পড়াশোনা করার আগে যে বিষয়ে পড়াশোনা করা হচ্ছে সেই বিষয়টির উপর একটি ছোট সারাংশ লিখে নিতে হবে। সেই সারাংশ টি পড়তে বসার সময় ওই বিষয়ের পাশে রেখে পড়তে হবে। এর ফলে যে বিষয়টি নিয়ে পড়া হচ্ছে সেই বিষয়টি খুব সহজে মাথায় ঢুকতে সাহায্য করবে। এছাড়াও যে বিষয়টি পড়তে পড়তে মুখস্ত করা হবে সেই বিষয়টি যদি খাতায় লিখে নেওয়া যায় মুখস্ত করার পর তাহলে আরো ভালোভাবে মনে থাকবে। কোন বিষয়ে মনোযোগ বসানোর আরেকটি উপায়ও আছে সেটি হলো পয়েন্ট করে করে পড়া। এরকম ভাবে পড়তে শিক্ষার্থীর ভালো লাগবে এবং সহজেই মনোযোগ বসবে পড়াশোনায়।
৩) পড়াশোনা করার জন্য একটি রুটিন বানিয়ে ফেলতে হবেঃ
দিনের যেকোনো সময় পড়াশোনায় মনোযোগ বসানো সম্ভব নয়। তাই এটাকে দেখতে হবে দিনের কোন সময়ে আপনার পড়াশুনার উপর মনোযোগ বসে। সেই হিসেবে একটি রুটিন আপনাকে বানিয়ে নিতে হবে। কেউ কেউ ভীষণ ভরে উঠে পড়াশোনা করতে পছন্দ করে আবার কেউ কেউ রাত জেগে পড়ে। আপনাকে দেখে নিতে হবে কোন সময় টি আপনার জন্য একদম সঠিক। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে সময় পড়ুন না কেন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম দরকার শরীর সুস্থ রাখার জন্য, মনকে এবং মস্তিস্ককে স্থির রাখার জন্য। মন যদি অস্থির থাকে তাহলে কোনভাবেই পড়াশোনায় মনোযোগ বসানো সম্ভব হবে না।
৪) দুই ঘন্টা অন্তর পড়াশোনা থেকে অবসর নিতে হবেঃ
অনেকক্ষণ একটানা পড়াশোনা করলেও পড়াশোনায় মনোযোগ বসার অসুবিধা দেখা দিতে পারে। এছাড়া অনেকক্ষণ একটানা পড়লে ও পড়াশোনার প্রতি একটি বিতৃষ্ণা আসা স্বাভাবিক। তাই জন্য পড়ার ফাঁকে ফাঁকে দু’ঘণ্টার অবসর নেওয়া জরুরী। এতে মস্তিষ্ক পরিষ্কার হয় এবং পড়াতে সহজে মন বসে। এই অবসর সময়ে আপনি কিছু উৎপাদন মূলক কাজ করতে পারেন। যেমন বই পড়া কিংবা হাঁটতে বেরোনো কিংবা গাছ লাগানোর মতো কাজও করতে পারেন। এতে মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই ঠান্ডা হয় এবং পড়াশোনায় মন বসতে সাহায্য করে।
৫) স্মার্টফোন পড়ার সময় যেন ধারেকাছে না থাকেঃ
পড়াশোনার অনেক জিনিস মোবাইলে থাকলেও পড়াশোনা করার সময় যেন মোবাইল হারে কাছে না থাকে। যদি পড়তে পড়তে কোন অসুবিধা হয় তবে সেটি অন্য জায়গায় টুকে রাখবেন পড়া হয়ে গেলে তারপর মোবাইল থেকেই সেগুলো দেখে নেবেন কিন্তু পড়ার সময় যদি স্মার্টফোন আপনার কাছে থাকে তাহলে এটি আপনার মনোযোগ বিঘ্নিত করবে। এবং সেটি একেবারেই পড়াশোনার পক্ষে ঠিক নয়।তাই যখন পড়াশোনা করা হবে আপনার স্মার্টফোনটি যেন সেই ঘরে না থাকে।
আরও পড়ুনঃগরমকালে সুস্থ থাকতে আপনার খাদ্যাভাসে অবশ্যই যোগ করুন এই খাদ্যগুলি!