ইন্টারভিউ দিতে গেলেই অনেকেরই ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়।সমানে ভাবতে থাকেন কীভাবে এমপ্লয়ারদের সামনে কথা বলবেন? চাকরিটা তারা আদৌ পাবেন কিনা? আর এসব নিয়ে বার বার ভাবতে ভাবতে আত্মবিশ্বাসের পরিমাপ গিয়ে ঠেকে তলানিতে।আর এরকম আত্মবিশ্বাসহীন ভাবে যদি কেউ ইন্টারভিউ দিতে যায় তাহলে তো তার ইন্টারভিউ বাজে হওয়া স্বাভাবিক।তাই ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে ভয়কে ত্যাগ করুন।এটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে ‘First impression is always the last impression’ তাই প্রথমেই যদি আপনার বসের কাছে আপনার ভাবমূর্তি খারাপ হয়ে যায় তবে সে কিছুতেই আপনাকে তার কাজের যোগ্য মনে করবেন না।তাই এই অহেতুক ভয় কাটাতে কয়েকটি উপায় অবশ্যই অবলম্বন করবেন।এতে ইন্টারভিউও ভালো হবে ভয়ও দূরে যাবে।
পরবর্তী বিষয়ঃবাড়ির বাইরে না গিয়ে শুরু করতে চান রোজগার? দেখে নিন বাড়িতে বসে রোজগারের উপায় !
উপায়গুলো জেনে নিনঃ
১।ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে যখন বাইরে ওয়েট করবেন তখন বসে বসে সোশ্যাল নেটোয়ার্কে সার্ফিং করবেন না।সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আমাদের অবচেতন মনে একটা চাপ সৃষ্টি করে যার ফলে হয় মনের মধ্যে আমাদের অজান্তেই একটা চাপা টেনশন হতে শুরু করে যা বাজে ভাবে প্রভাব ফেলে ইন্টারভিউতে।তাই ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্ফিং নৈব নৈব চ।
২।বাইরে অপেক্ষা করার সময় আপনার আগে যারা ইন্টারভিউ দিয়ে বেরিয়েছেন তাদের ধরে ধরে অহেতুক প্রশ্ন করবেন না।এতেও আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এবং আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়।
৩।ইন্টারভিউ দিতে যখন ঢুকবেন তখন প্রথম থেকেই দৃঢ় গলায় কথা বলবেন।আপনার গলার স্বর কথা বলার সময় যেন একেবারেই হালকা না থাকে।গলায় দৃঢ়তা থাকলে আপনার এমপ্লয়ার আপনার ওপর কাজের ভার দিতে আর দ্বিধা বোধ করবেন না।
৪।কথা বলার সময় নম্র ভাবে কথা বলবেন।গলায় দৃঢ়তা আনতে গিয়ে আবার স্বভাবে নিজেকে উদ্ধত দেখিয়ে ফেলবেন না।সেটি শুধু ইন্টারভিউ কেন কোনো ক্ষেত্রেই ঠিক নয়।নম্র অথচ দৃঢ় ভাবে কথা বলুন।
৫।ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার আগে এমপ্লয়ার যদি আপনার সাথে হ্যান্ডশেক করতে চায় তবেই হ্যান্ডশেক করবেন।নিজে থেকে করতে যাবেন না।এমপ্লয়ার যদি নিজে থেকে হ্যান্ডশেক না করেন আপনি তবে শুধু নমস্কার বলেই অভিবাদন জানাবেন।
৬।আর এমপ্লয়ার যদি নিজে থেকে করমর্দন করেন তবে দৃঢ়তার সাথে তার সাথে করমর্দন করবেন।হাল্কা আলগোছে ভাবে করমর্দন করলে বস ধরে ফেলবেন আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাসের কমতি।
৭।কথা বলার সময় সবসময় চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন।ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় কখনই এদিক ওদিক তাকাবেন না।এটা প্রমান করে আপনার মনোযোগহীনতা। যা পারতপক্ষে আপনার জন্য ভালো হবে না।
৮।যদি আপনার সোশ্যাল ফোবিয়া থাকে অর্থাৎ অজানা লোকের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে ভয় লাগে তবে তবে ইন্টারভিউয়ের দুদিন আগে থেকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা অভ্যাস করুন।
৯।ইন্টারভিউয়ের সময় কোন ভাষায় কথা বলবেন এই নিয়ে অনেকেই অনিশ্চয়তায় ভোগেন।যদি আপনার এমপ্লয়ার আপনার সাথে ইংরাজীতে কথা না বলে তবে তার সাথে অযথা আপনি ইংরাজীতে কথা বলতে যাবেন না।আর যদি তিনি ইংরাজ্জীতেই কথা বলেন এবং আপনি যদি ইংরাজীতে কথা বলতে সরগর না হয়ে থাকেন তবে ওনাদের অনুরোধ করুন বাংলায় ইন্টাড়ভিউটা নেওয়ার জন্য।
১০।আর যদি কোনো ভাবেই আপনার ভয় না কাটে তবে অবশ্যই নিজের কাউন্সিলিং করান।এই ভয়কে কখনোই মনে চেপে বসতে দেবেন না।এতে ক্ষতি হবে আপনারই।তাই কাউন্সিলিং করিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভয় কাটিয়ে উঠে ঊজ্জ্বোল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যান।