ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও পিছু হটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোন ‘নেভি আর কিউ গ্লোবাল হক’ কে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নামানো হয়েছে বলে অভিযোগ আনেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের বিরুদ্ধে।
এটি ইমরান একটি বড় ভুল করেছে বলে অভিযোগ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবং তার পরেই তিনি ইরানের বিরুদ্ধে ঘোষণা করে দেন যুদ্ধ। এমনটাই খবর পাওয়া গেছিল হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কেন তার এই পিছু হটা সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায় নি হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে।
তবে ইরানের ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ডস কর্পস অভিযোগ জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই ড্রোন টি নাকি তাদের আকাশ সীমায় প্রবেশ করেছিল। এই জন্যই তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে বাধ্য হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনারা জানান ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশ সীমানাতেই উড়ছিল। হরমুজ প্রণালীতে বিধ্বস্ত তেলের ট্যাংক এর ওপর ড্রোনটি নজরদারি চালাচ্ছিল বলে দাবি আমেরিকার।
সম্প্রতি ওই প্রণালীতে পেলে ট্যাংকের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ইরানের বিরুদ্ধে। ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে সম্পর্ক তা দিন দিন তিক্ততায় পরিণত হচ্ছে। 2015 সালে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে ইরানের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন কংগ্রেস নেতাদের একটি গ্রুপ এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেন। সুত্রে খবর পাওয়া যায় এই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন এক কংগ্রেস নেতা। তাদের মতে কোন প্রেসিডেন্ট ও তার প্রশাসনের যুদ্ধে যাওয়ার মানসিকতা থাকা উচিত নয়। আলোচনা করেই কোন সমস্যা মেটানো শ্রেয়। যুদ্ধ হলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যাবে। তিনি 2003 সালে ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধে প্রসঙ্গ তুলে বলেন অতীত থেকে সবসময় শিক্ষা নেওয়া উচিত বর্তমানের।