যদি কোনো দম্পত্তি বহুদিন ধরে সন্তানের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু সন্তান লাভ করতে অপারক হচ্ছেন তার মানে তারা বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন।আর সেই সমস্যা নিরাময়ের জন্য বর্তমানে বহু চিকিৎসা।বন্ধ্যাত্ব দুরীকরণের এইসব চিকিৎসার মাধ্যমে যে দম্পত্তি বহু দিন ধরে সন্তান ধারনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা সফল ভাবে সন্তানসুখ লাভ করতে সক্ষম হচ্ছেন।
বর্তমানে প্রযুক্তি উন্নতমানের হওয়ার কারণে মানুষের সবরকমের উর্বরতার সমস্যার জন্য চিকিৎসা রয়েছে।সেইসব চিকিৎসা সঠিক ভাবে গ্রহণ করলেই সন্তানকামী দম্পতি খুব সহজেই সফলভাবে এক সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে পারবেন।বন্ধ্যাত্বের কারণ নির্নয় করে তারপরে ব্যক্তি বিশেষে আলাদা আলাদা বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের চিকিৎসা করা হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দম্পত্তির মধ্যে হয়ত একজনের চিকিৎসা করতে লাগে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সন্তানকামী পিতা-মাতা দুজনকেই চিকিতসাধীন থাকতে হয়।এটি পুরোপুরি ভাবে নির্ভর করে দম্পত্তির শারিরীক অবস্থার উপর।
বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের চিকিৎসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওষুধের মাধ্যমে করা হয়। ওষুধের মাধ্যমে হরমোন বৃদ্ধি করে কিম্বা ডিম্বস্ফোটনের কিছু পরিবর্তন করে সাধারণত এই চিকিৎসা করা হয়। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অপারেশনের ও প্রয়োজন পড়তে পারে। অ্যাসিস্টেড রেপ্রডাক্টিভ টেকনোলজি(ART) বিশ্লেষণ করে নানা ধরনের উপায় যার মাধ্যমে একজন সন্তানকামি দম্পতি সহজেই সন্তান লাভ করতে পারবেন।ART এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে পুরুষের বীর্যের মাধ্যমে একটি ডিম্বানুকে উর্বর করে সেটিকে একজন সন্তান কামি নারীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায়।
বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ এর চিকিৎসার মধ্যে কয়েকটি প্রক্রিয়া আছে যেগুলি খুবই জনপ্রিয়। সেগুলি হলঃ
IUI (Intrauterine Insemination)
এই পদ্ধতিতে সুস্থ বীর্য সংগ্রহ করে তাকে সরাসরি নারীর ইউটেরাসে প্রবেশ করানো হয় যখন তার ডিম্বস্ফোটনের সময় চলতে থাকে।
IVF (Invitro Fertilization)
এই পদ্ধতিতে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের করে নেওয়া হয় তারপর সেটি ল্যাবে বীর্যের সাথে মিশিয়ে উর্বর করে দেওয়া হয় যাতে তারা ভ্রূণে পরিণত হতে পারে। তারপরে ডাক্তার সেই ভ্রুণ নারী শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয়।