শকুন্তলাদেবী ছিলেন তার সমসাময়িক কালের অঙ্কের জাদুকর।আর এই মহীয়সী নারীর জীবনছবি পর্দায় তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান নির্মাতা সংস্থা বিক্রম মালহোত্রার অ্যাবানডেনশিয়া এন্টারটেনমেন্ট। শোনা যাচ্ছে এই ছবিতে শকুন্তলাদেবীর চরিত্রে অভিনয় করবেন বিদ্যা বালন।
শকুন্তলাদেবীকে এককথায় অঙ্কের জাদুকর বলা চলে। বলা হয় তিনি ছিলেন মানুষের বেশে কম্পিউটার । চোখের নিমেষে কঠিন থেকে কঠিনতম অঙ্ক অনায়াসেই সমাধান করে দিতেন। তাঁর এই প্রতিভা লোকচক্ষুর সামনে আসে যখন তাঁর ৫ বছর বয়স। সেই ছোট বয়সেই তিনি ১৮ বছরের এক ছাত্রের অঙ্ক নির্ভুলভাবে করে দেন। জানলে অবাক হতে হয় যে এই ক্ষুরধার বুদ্ধির অধিকারী শকুন্তলা দেবীর কোনো প্রথাগত বিদ্যা ছিল না। সংখ্যাতত্ত্বের প্রতি তাঁর এই অনায়াস দখলের জন্য ১৯৮২ সালের গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। শকুন্তলাদেবীকে কিন্তু শুধুমাত্র গণিতজ্ঞই ছিলেন না তিনি একজন জ্যোতিষী, ঔপন্যাসিক ও রান্নার বইয়ের রচয়িতাও বটে।তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কলেজগুলোতে গিয়ে গিয়ে তিনি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তার এই জ্ঞান বিতরণ করে গেছেন।এছাড়াও বিভিন্ন রেডিও এবং টেলিভিশন গুলিতেও তিনি তার জ্ঞানের প্রদর্শন করে অঙ্কের নানা দিকগুলো নিজের মতো করে তুলে ধরেছেন।
শকুন্তলাদেবীকে নিয়ে এই ছবিটি পরিচালক হলেন অনু মেনন। এই প্রযোজক সংস্থাটি এর আগে ‘এয়ারলিফট’, ‘বেবি’, ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ প্রভৃতি ছবিগুলো প্রযোজনা করেছে।এই ছবির গল্পের দুই লেখক হলেন অনু মেনন এবং নয়নিকা মহতানি । ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন ঈশিতা মৈত্র। এই বছরের শেষের দিকে শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা। আশা করা যায়, আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে ছবিটি মুক্তি পাবে।
বিদ্যা বালনের মতামত জানতে চাইলে তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে বললেন যে তিনিও আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করে আছে বড় পর্দায় শকুন্তলা দেবীর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ।একজন মানুষ যিনি আক্ষরিক অর্থেই একজন নারীবাদী এরকম মানুষের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন।
তিনি আরো বললেন যে অঙ্ক বিষয়টা প্রায় সবার কাছেই আতঙ্কের বিষয়,সেই বিষয়টির সাথে এমন একজন মজার মানুষ জড়িয়ে আছে যেনে বিদ্যার অবাক লাগছে।
ভারতের এমন একজন মহীয়সী নারীর জীবনভিত্তিক ছবিতে কাজ করতে পেরে তিনি নিজেকে সত্যিই গর্বিত মনে করছেন।